ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি ছবিতে বন্ধুত্বের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
দুষ্টুমি হোক বা আনন্দের দিন, দুঃখ কিংবা বিপদ, পাশে যদি ভাল বন্ধু থাকে, অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যায়। 'বন্ধু' শব্দটা ছোট হলেও, জীবনে তার গুরুত্ব অনেকখানি।
মনস্তাত্ত্বিকেরা বলছেন, জীবনে প্রেম যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুত্ব তার চেয়ে কম কিছু নয়। ভাল থাকার জন্য জীবনে বন্ধুত্বের একান্ত প্রয়োজন। যে মানুষের জীবনে ভালমন্দ ভাগ করে নেওয়ার মতো বন্ধু আছে, দেখা গিয়েছে তাঁদের জীবনে হতাশা কম থাকে। জীবন অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
দুষ্টুমির সঙ্গী
নিখাদ দুষ্টুমি না থাকলে, জীবন বড় পানসে হয়ে যায়। বিশেষত ছাত্রজীবনে জড়িয়ে থাকে এমন কত ঘটনা। স্কুল থেকে ফেরার পথে কারও বাড়ির কলিং বেল বাজিয়ে লুকিয়ে পড়া, ক্লাস না করে ঘুরতে চলে যাওয়া, এ সব আনন্দ বন্ধুদের সঙ্গেই হয়।
অবসাদ কমায়
জীবনে দুঃখ, যন্ত্রণা থাকবেই। যে কথা অভিভাবক, এমনকি বিশেষ মানুষটির সঙ্গেও কখনও কখনও ভাগ করে নেওয়া যায় না, তা কিন্তু বন্ধুর কাছে অবলীলায় বলা যায়। প্রেম ভাঙার যন্ত্রণা হোক বা অন্য কোনও সমস্যা, ভাল বন্ধু থাকলে খারাপ সময় সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে।
একাকিত্ব দূর করে
অবসাদ হোক বা একাকিত্ব, এক বা একাধিক বন্ধু থাকলে সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়। বেড়ানো হোক বা আড্ডা, মনখারাপের অব্যর্থ ওষুধ বন্ধুসঙ্গ।
সাহায্যের হাত
জীবনে অনেক সময় ব্যর্থতা আসে, খারাপ সময়ও আসে। সেই সময় দিশাহীন মনে হলেও তেমন যদি বন্ধু থাকে, কঠিন পরিস্থিতিও সামলে নেওয়া যায়। সেই পরিস্থিতি কষ্টে থাকা অন্য মানুষের পাশে দাঁড়াতেও শিক্ষা দেয়।
আনন্দ উদ্যাপন
শুধু দুঃখের দিন নয়, আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্যও জরুরি বন্ধু থাকা। দুঃখ ভাগ করে নিলে যেমন কমে, আনন্দ ভাগ করে নিলে বেড়ে যায়। পরিবার বা ভালবাসার মানুষের সঙ্গে উদ্যাপনের এক রকম আনন্দ, কিন্তু বন্ধুত্বের সমীকরণটাই যে আলাদা!