ব্লাইন্ড ডেটে গেলে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখুন।
মনে মনে ভাল লাগা শুরু হয়ে গিয়েছে। কল্পনাও করে নিয়েছেন তাঁকে। না-দেখা মানুষটিকে প্রথম বার দেখার উত্তেজনায় বুক দুরুদুরু? তা তো হতেই পারে। তবে ‘ব্লাইন্ড ডেট’-এ গেলে কিন্তু কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
নিরাপত্তা
যে মানুষটির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাঁকে কিন্তু আপনি চেনেন না। হয়তো কথা হয়েছে। তাতেও কি মানুষ চেনা যায়? নিরাপত্তার বিষয়টা কিন্তু অবহেলা করা উচিত নয়। ‘ব্লাইন্ড ডেট’-এর স্থান নির্বাচন করুন কোনও পরিচিত রেস্তরাঁ বা কফি শপে বা এমন কোনও জায়গায়, যেটা আপনার খুব চেনা। অবশ্যই কোথায়, কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, কোনও বন্ধু বা ভরসাযোগ্য কাউকে জানিয়ে যান। এটা শুধু মহিলা নয়, পুরুষদের জন্যও প্রযোজ্য।
পোশাক
প্রথম বার কোনও মানুষের সঙ্গে দেখা হলে তাঁর পোশাকও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সঠিক পোশাক ও সাজসজ্জা তাঁর রুচিবোধ, ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরে। তাই ব্লাইন্ড ডেটে সঙ্গীর নজর কাড়তে সঠিক পোশাক জরুরি। মরসুমের সঙ্গে খাপ খায়, এমন জামাকাপড় বেছে নিন। দিনে সাক্ষাৎ হলে, তার সাজ এক রকম হবে, রাত হলে অন্য রকম। সেই সব বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
বেশি আশা না রাখাই ভাল
প্রথমে দর্শনেই যে প্রেম হবে, এমনটা না-ও হতে পারে। এমনটাও হতে পারে যে, কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মানুষটি মিল হল না। কিংবা কথা বলে ঠিক জুতসই মনে হল না। তাই শুরুতেই অনেক কিছু আশা করে ফেললে আশাহত হতে পারেন। তার চেয়ে বরং কোনও আশা ছাড়াই দু’জনে দেখা করে পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করতে পারেন।
চেনার চেষ্টা করুন
একে অন্যকে ভাল করে বুঝতে গেলে কথা বলতে হবে। তাই সহজ-সরল ভাবে কথা বলুন। হয়তো ফোনের বার্তালাপ দীর্ঘ ক্ষণ হত, সামনে আসার পর কথা খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন বরং দু’জনেরই পছন্দের কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করতে পারেন। কথা বলার সময় সত্যিটা বলাই ভাল। ব্লাইন্ড ডেট থেকে যদি সম্পর্কের ভাবনা আসে, তা হলে শুরুটা সৎ ভাবেই করা উচিত।
ইতিবাচক মনোভাব
যে কোনও বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব সব সময় অন্য মানুষটির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। কথায় যেন সেই ‘পজিটিভ’ ভাবনা অবশ্যই থাকে। প্রথম বারের আলাপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে একেবারে মুখ টিপে থাকা যেমন উচিত নয়, আবার অতিরিক্ত কথা বললেও সেটা ভাল দেখাবে না। যে কথাই বলবেন, তাতে যেন আপনার চিন্তার স্বচ্ছতা প্রতিফলিত হয়।
ভাল শ্রোতা
একে অন্যকে ভাল করে চিনতে ও বুঝতে গেলে শুধু কথা বললেই হবে না। অন্যের কথা শোনার অভ্যাস রাখতে হবে। এক জন কথা বলছেন, মাঝপথে থামিয়ে নিজের কথা বলার আগে সেটা শুনে নিন।