কিছু প্রচলিত পরামর্শ আছে, যা আদতে লাভের চেয়ে দাম্পত্যে ক্ষতিই করে বেশি।
দাম্পত্য সহজ নয়। অনেক সময়েই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নানা ঝঞ্ঝাট সামলাতে হয় একে অপরের কাঁধে কাঁধ রেখে। তাতে মাঝেমধ্যে নিজেদের মধ্যে দূরত্বও তৈরি হয়।
এর কোনও কথাই কারও অচেনা নয়। আর এমন পরিস্থিতিতে কিছু অতিপরিচিত পরামর্শও দিয়ে থাকেন কেউ কেউ। সে সব কি সকলের ক্ষেত্রে কাজে লাগে? তা কিন্তু নয়। বরং এমন কিছু প্রচলিত পরামর্শ আছে, যা আদতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই করে বেশি।
তেমনই তিনটি অতিপরিচিত পরামর্শের কথা ধরা যাক। কেন সে সব পরামর্শ ক্ষতি করে?
সমস্যা মেটাতে সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে? তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।
১) পুরুষ সঙ্গীকে প্রথম পদক্ষেপ করতে দিন: এ এক অতি পরিচিত কথা। বাড়ির পুরুষকে প্রথম পদক্ষেপ করতে দিন। তা-ই নাকি দস্তুর! কিন্তু কিছু কিছু সমস্যায় তাঁরাও চাইতে পারেন উল্টো দিক থেকে হাত বাড়ানো হবে। দাম্পত্যের দায়িত্ব দু’জনেরই। তা সুখের রাখতে হলে একসঙ্গে সব দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে।
২) সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে: অর্থাৎ, নিজে থেকে যত ক্ষণ না কিছু ঠিক হচ্ছে, তত ক্ষণ কিছু করা যাবে না! সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে? তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সময় যেমন কিছু জট কাটিয়ে দেয়, তেমন সময়ের সঙ্গে জমে অভিমানের পাহাড়। দূরত্ব বাড়ে।
৩) সন্তানের জন্মের পর সব দূরত্ব দূর হবে: একেই নিজেদের মধ্যে সমস্যা। তার উপর আবার আনবেন আর একটি মানুষকে! সে আবার যে-সে মানুষ নয়। সবটাই বাবা-মায়ের উপর নির্ভর করে তার। এতে জট কাটবে কী করে? দায়িত্ব বাড়লে নিজেদের দিকে যেমন তাকানোর সময় কমে, তেমনই একে-অপরকে সময় দেওয়ার সুযোগও যে কমে। ঝগ়ড়া করার সময় হয়তো নিয়ে নেবে সন্তান। কিন্তু একে অপরের সঙ্গে কথা বলা সুযোগ যত কমবে, ততই অস্বস্তি বাড়ার সুযোগ থাকবে সে সম্পর্কে।