নিজের প্রতি সহনশীল হওয়ার কোনও সময়সীমা হয় না। যখন টের পাবেন ভুল হচ্ছে, তখনই সতর্ক হওয়া যায়।
সকলেই নিজেকে ভালবাসেন, এ কথা কিন্তু ঠিক নয়। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজের যত্ন নেওয়াও আত্মকেন্দ্রিকতা বলে মনে করেন। নিজের জন্য কিছু ভাবতে অথবা করতে গেলেই মনে হয় অপরাধ করছেন। কারও সম্পর্কে খারাপ কিছু ভাবলে লজ্জা করে। অস্বস্তিতে পড়েন রাগ হলেও। এমন সব ভাবনা যদি আসে মনের মধ্যে, তবে বুঝবেন নিজেই নিজের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছেন।
কিন্তু নিজের প্রতি সহনশীল হওয়ার কোনও সময়সীমা হয় না। যখন টের পাবেন ভুল হচ্ছে, তখনই সতর্ক হওয়া যায়। তবে তার আগে চিনতে হবে চিহ্নগুলি। কোন কোন অভ্যাস নিজের মধ্যে লক্ষ করলে সচেতন হতে হবে?
১) কোনও কাজে ভুল হলে আগেই নিজের দোষ খোঁজা। এমন অভ্যাস সাধারণত বেশি কারও থাকে না। বরং উল্টোটাই হয়। কিন্তু যাঁদের থাকে, তাঁদের সচেতন হওয়া জরুরি। ভাবনার এই গতি আসলে নিজের উপর মানসিক চাপ বাড়ানোর একটি ধরন।
পুরনো কোনও ভুল কিন্তু সারা জীবনের সঙ্গী হতে পারে না।
২) কারও আচরণে ত্রুটি দেখলেন। কেউ হয়তো অসম্মান করলেন। এতে রাগ হয়। কিন্তু কেউ কেউ ভাবেন, আসলে সবই তাঁর ধারণা। এ ধারণা ভুলও হতে পারে। এই ভাবনা আসলে ‘গ্যাসলাইটিং’-এর একটি ধরন। সাধারণত ‘গ্যাসলাইটিং’ বলে পরিচিত মানসিক অত্যাচার একে অন্যের উপর করে থাকেন। কিন্তু কখনও কখনও অজান্তেই নিজেই নিজেকে সেই অত্যাচারের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যান।
৩) পুরনো কোনও ভুল কিন্তু সারা জীবনের সঙ্গী হতে পারে না। একই ভুলের জন্য যদি বছরের পর বছর নিজেকে দোষ দিতে থাকেন, তা হলেও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। কারণ, এতে নিজেই নিজের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছেন।