কী খেলে পাবেন ঝকমকে ত্বক?
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কোলাজেন নামক প্রোটিনের ভূমিকা অনেকটা। ত্বকের জেল্লা বাড়ানো থেকে চুলের গোড়া মজবুত করা সবেতেই প্রয়োজন হয় এই প্রোটিনের। তবে বাড়তি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে শুরু হয়। তা ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, দূষণ, ধূমপানের অভ্যাস শরীরে এই প্রোটিন উৎপাদনের হার আরও কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, অকালেই চেহারায় বয়েসের ছাপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায়, ত্বকের জেল্লা, চুলের নানা সমস্যায় জেরবার হতে হয়। কোলাজেন ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভাসে বদল এনে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। ত্বক ও চুল জেল্লা ধরে রাখতে কী খাবেন ভাবছেন? মূলত প্রাণীজ প্রটিন কোলাজেনের ভাল উৎস। এমন কিছু শাকসব্জিও আছে যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। রইল তারই হদিস।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।
প্রতীকী ছবি
ভিটামিন সি
কোলাজেন উৎপাদনে এই ভিটামিনেরও যথেষ্ট ভূমিকা আছে। ত্বক ও চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটির জুড়ি মেলা ভার। তাই ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে টক জাতীয় ফল। পেঁপে, টম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা লাল ও হলুদ বেলপেপার ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে।
জিঙ্ক
শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে জিঙ্কেরও প্রয়োজন আছে। এটি কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাঁধা দেয়। রোজের খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজুবাদাম, দুগ্ধজাতীয় খাবার রাখলেই শরীরে জিঙ্কের পরিমাণ বাড়বে।
ম্যাঙ্গানিজ
শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য এই খনিজটি সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের গোটা শস্য, বাদাম, ব্রাউন রাইস, সবুজ শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই খাদ্যতালিকাই এই খাবারগুলি রাখতেই হবে।