—প্রতীকী ছবি।
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের চাহিদা। শরীরে জলের অভাব পূরণ করতে, ইলেকট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। শরীরে সমস্ত ধরনের খনিজের জোগান দিতে পারে ডাবের জল। তাই এই পানীয়কে প্রাকৃতিক ‘ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন’ও বলা হয়। অতিরিক্ত গরমে, ঘামে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে নুন বেরিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণে হেরফের হচ্ছে অনেকেরই।
মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, চোখ অন্ধকার হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হচ্ছে। ইলেকট্রোলাইটের অভাবে পেশিতে টান ধরার সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। তাই বাজার সেরে ফেরার পথে স্ট্র দিয়ে রোজ ডাব খাচ্ছেন অনেকেই, কিন্তু সারা দিন ধরে ডাবের গায়ে রোদ লেগে সেই জলও যেন ফুটন্ত বলে মনে হচ্ছে। তার চেয়ে বরং বাজার থেকে ডাব কিনে এনে তা দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন এমন তিনটি খাবার, যা শরীর ঠান্ডা করার পাশাপাশি বিভিন্ন খনিজের অভাবও পূরণ করবে।
ডাবের জল দিয়ে কী কী তৈরি করতে পারেন?
১) ডাবের জলের স্মুদি:
গতে বাঁধা এক রকম স্মুদি না খেয়ে ডাবের জল দিয়েই তা বানিয়ে ফেলতে পারেন। স্ট্রবেরি, কলা, আম, খেজুরের মতো ফলের সঙ্গে একমুঠো পুদিনা আর ডাবের জল— ব্যস। সব কিছু একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলেই স্মুদি তৈরি। সকাল সকাল দিন শুরু করুন এই স্মুদি খেয়ে। যতই ঘাম হোক, শরীর থাকবে চনমনে।
২) ডাবের জলের আইস কিউব:
গরমের দিনে গরম পানীয় খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। তাই তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই এই সময়ে আইস্ড টি বা কফি খেতে পছন্দ করেন। বাড়িতে সহজেই এই পানীয় তৈরি ফেলা যায়। তার আগে বাজার থেকে ডাব কিনে, তা থেকে জল বার করে বরফ জমানোর ট্রে-তে ঢেলে নিন। বরফ জমার জন্য কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। বাড়িতে তৈরি আইস্ড টি বা কফিতে এক টুকরো ডাবের জলের কিউব ফেলে দেখুন, খেতে কেমন লাগে! চাইলে সকালের ডিটক্স পানীয়ের মধ্যেও একই ভাবে এক টুকরো ডবের জলের কিউব ফেলে খেতে পারেন। শরীরে ডিহাইড্রেশন জনিত কোনও সমস্যা হবে না।
৩) ডাবের জল, চিয়া পুডিং:
ছোট একটি কাচের পাত্রে বেশ খানিকটা ডাবের জল নিন। তার মধ্যে চিয়া বীজ দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ওই খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন মরসুমি বিভিন্ন রকম ফলের কুচি। বিভিন্ন রকমের বাদাম এবং বীজ। উপর থেকে সামান্য কুরোনো নারকেলও ছড়িয়ে দিতে পারেন। ব্যস, ঠান্ডা ঠান্ডা চিয়া পুডিং তৈরি।