দুই সন্তানকে নিয়ে অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হাসলেই গালে টোল পড়ে তাঁর। অভিনয় জগতের শুরু থেকেই প্রীতি জিন্টার সেই মিষ্টি হাসির অনুরাগী দর্শক। কিন্তু এই হাসির আড়ালে আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতোই অনেক দুঃখ, যন্ত্রণা লুকিয়ে থাকে নায়িকাদেরও, সে খবর ক’জনই বা রাখেন। বাইরে থেকে তাঁদের যত সুখী মনে হয়, বাস্তবে সব সময়ে তেমনটা হয় না।
মাতৃত্বের কথা বলতে গিয়ে জীবনের হতাশাদীর্ন ও যন্ত্রণাময় সময়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন ‘বীর-জারা’-র নায়িকা। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই অভিনেত্রী এখন দুই ফুটফুটে সন্তানের মা। জয় ও জিয়া এবং স্বামী জেনে গুডেনাফের সঙ্গে সুখেই দিন কাটছে তাঁর। বেশ কয়েক বছর কর্মবিরতির পর ফের অভিনয় জগতে ফিরছেন তিনি।
সম্প্রতি মাতৃত্বের কথা বলতে গিয়ে তাঁর কষ্টকর অধ্যায়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন প্রীতি। সারোগেসির মাধ্যমে তাঁর দুই সন্তান পৃথিবীতে এসেছে। তবে তার আগে আইভিএফ করিয়েছিলেন তিনি। সফল নায়িকা হওয়ার পাশাপাশি, একটা সুন্দর সাংসারিক জীবন, স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে দিনযাপনের স্বপ্ন ছিল তাঁর বরাবরই। তবে বিয়ের পর সন্তান আগমনের পথটা সহজ, সমধুর ছিল না প্রীতির জীবনে। অভিনেত্রীর কথায়, কেরিয়ার যতই গুরুত্বপূ্র্ণ হোক, মা হওয়ার জন্য বয়সের কথাও মাথায় রাখতে হয়। নায়িকা হলেও জৈবিক ঘড়ি কখনও থেমে থাকে না।
সারোগেসির আগে আইভিএফ করিয়েছেন প্রীতি। কিন্তু সেই যাত্রাপথ মোটেই মসৃণ ছিল না। আশা-নিরাশার দোলাচলে দিন কেটেছে তাঁর। নায়িকার কথায়, তাঁর হাসিমুখ দেখতেই সকলে অভ্যস্ত। কিন্তু সেই হাসি তাঁর জীবন থেকে চলে গিয়েছিল। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘আইভিএফ-এর সময়ে এমন দিনও কেটেছে, যখন কারও সঙ্গে কোনও কথা বলতে ইচ্ছা করত না। মনে হত দেওয়ালে মাথা ঠুকি।’’
তবে সেই কঠিন সময় পার করে মাতৃত্বের সুখ পেয়েছেন তিনি। নায়িকা জানিয়েছেন, ছেলে-মেয়েরা এখন একটু বড় হয়েছে। তাই আবার কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘লাহোর ১৯৪৭’-এ মধ্যে দিয়ে ফের অভিনয় জগতে ফিরতে চলছেন অভিনেত্রী।