মোনো ডায়েট কী? ছবি: সংগৃহীত।
অনলাইনে হালফ্যাশনের পোশাক দেখেই হাত নিশপিশ করছে, তবে কেনার কথা ভেবেও আর কেনা হচ্ছে না! বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আপনার বাড়তি ওজন। জীবনযাপনে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে ঊরু, কোমরেও। তবে আশার কথা হল, পুজো আসতে এখনও মাসখানেক বাকি। পুজোর আগে বেশ খানিকটা ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? কোন ডায়েট মেনে চললে সুফল পাবেন ভাবছেন?
একেবারে ক্র্যাশ ডায়েট করলে কিন্তু চলবে না। অনেকে কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি খাওয়া বন্ধ করে দেন। কেবল তরল ডায়েট মেনে চলেন। এই প্রকার ডায়েটে আপনার ওজন দ্রুত ঝরবে বটে, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন মোনোট্রফিক ডায়েট বা মোনো ডায়েটে। বিরাট কোহলি, অনুষ্কা শর্মা, সুনীল ছেত্রী বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা মাসের পর মাস একই ধরনের খাবার খান। আর এই খাদ্যাভ্যাসে তাদের কোনও অসুবিধাও হয় না। এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্কা বলেন, ‘‘কখনও কখনও আমি দীর্ঘ দিন ধরে একই খাবার খাই। এটা আমার কাছে খুব কঠিন কাজ নয়। বিশেষ করে সিনেমার শুটিংয়ের সময় আমি একই রকম খাবার দীর্ঘ দিন খাওয়ার চেষ্টা করি। এমনও হয়েছে যখন আমি রাতের খাবারে টানা ১ মাস ধরে খিচুড়ি আর বেগুন ভাজা খেয়েছি। এমনও হয়েছে যে, টানা ৬ মাস ধরে আমি ইডলি-সাম্বার খেয়েছি প্রাতরাশে।’’
দিনের পর দিন একই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসকে বলা হয় মোনোট্রফিক ডায়েট। মেদ ঝরাতে এই ডায়েট বেশ কার্যকর। এই ডায়েট মেনে চলা খুব কঠিন নয়, এ ক্ষেত্রে রোজ কতটা খাবার খাচ্ছেন তার উপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হয়। এই ডায়েটে যে খাবার খাওয়া হয়, তা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। শরীরে সমস্ত পুষ্টিগুণ খুব তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পারে। এই ডায়েট মেনে চললে গ্যাস-অম্বল, পেটভারের সম্ভাবনাও কম। তবে এই ডায়েট করার সময় শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রা ভিটামিন, খনিজ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টিগুণ পৌঁছয়, সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। আর খাবারের পরিমাণের উপরও নজর রাখা জরুরি। কোনও কিছুই বেশি খাওয়া ভাল নয়, এতে ক্যালোরির পরিমাণও বেড়ে যায় শরীরে। এর পাশাপাশি এই ডায়েট করার জন্য খুব বেশি পরিকল্পনা করারও প্রয়োজন পড়ে না, ফলে রোজের ডায়েটে কী খাবেন সে নিয়ে মাথাব্যথাও কম।
যে কোনও ডায়েট শুরু করার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভীষণ জরুরি। পুষ্টিবিদের পরামর্শ না নিয়ে ডায়েট শুরু করলেই শরীরে পুষ্টিগুণের অভাব হবে, ক্যালোরির মাত্রা কমবেশি হয়ে যাবে, ফলে রোগা হওয়া তো হবেই না, উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।