প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির সঙ্গে লড়ার মতো অ্যান্টিবডি দেখা যাচ্ছে না কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নেওয়ার পরেও! এমনই প্রকাশ পেল নতুন গবেষণায়।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক গবেষণাপত্র এ কথা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৬.১ শতাংশ মানুষের মধ্যে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে গবেষণায় প্রকাশ। সঙ্গে জানানো হয়েছে, একটি টিকা নেওয়ার পরে ৫৮.১ শতাংশ মানুষের শরীরে সেই অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন গবেষকেরা।
তার মানে কি কোভিশিল্ড একেবারেই অক্ষম ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে?
এমন নাও হতে পারে, বলছেন চিকিৎসকেরা। এখনই এ কথা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। ভেলোরের ক্রিশচান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান টি জেকব জনের তেমনই বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘‘অ্যান্টিবডি দেখা যায়নি মানেই যে তা একেবারে অনুপস্থিত, এমনটা ধরে নেওয়া যায় না। হতেই পারে যে অ্যান্টিবডি আছে, কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না।’’ কোষের মধ্যেও জন্মায় প্রতিরোধের ক্ষমতা। তাও অনেক সময়ে শরীরকে জীবাণুর থেকে রক্ষা করে।
কোন ধরনের মানুষের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, সে কথাও জানা প্রয়োজন। ওই চিকিৎসকের বক্তব্য, সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষ কিংবা যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে, তাঁদের শরীরে আরও কম দেখা দেবে অ্যান্টিবডি। এ সব ক্ষেত্রে একটি তৃতীয় টিকাও দিতে হতে পারে। তবে আপাতত সবটাই পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
প্রতীকী ছবি।
এই গবেষণার কথা সামনে আসতে নানা ধরনের মন্তব্য উঠে আসছে। গবেষকেদের একাংশের বক্তব্য, এর অর্থ হল ভারতে একদল মানুষের কোভিশিল্ডের একটি তৃতীয় টিকা প্রয়োজন হতে পারে। বুস্টার ডোজ হিসাবে তা দিতে হবে। আবার যাঁদের ইতিমধ্যে করোনা হয়ে গিয়েছে, তাঁদের শরীরে একটি টিকাই অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হবে।
এই গবেষণায় আরও একটি বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে। বি১ প্রজাতির করোনাভাইরাসকে টিকাপ্রাপ্ত মানুষের শরীরের অ্যান্টিবডি খানিকটা বদ করতে পারত। তার তুলনায় ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাস অনেক কম সংখ্যায় মারা যাচ্ছে। এমনই প্রকাশ করা হয়েছে ওই গবেষণায়।
তবে আগে সংক্রমিত হয়ে থাকলে অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হচ্ছে। এমন কথাও বলা হয়েছে গবেষণায়।