প্রতীকী ছবি।
আইসিএমআর-এর সমীক্ষা বলছে, স্তন ক্যানসার বাড়ছে এ দেশে। বিশেষ করে ব্যস্ত শহরগুলিতে। ৩০-৪০ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা কম। তাই নিয়মিত পরীক্ষা হয় না। রোগ ধরা পড়ছে দেরিতে। তাই স্তন ক্যানসারে আক্রান্তদের মৃত্যর হারও কমছে না।
করোনাকালে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে প্রায় কাজ বন্ধ। মানুষে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে অধিকাংশ স্তন ক্যানসারের ঘটনা ধরা পড়ছে অনেক দেরি করে। তার জেরে বাড়ছে সঙ্কট। এখন সময় এসেছে মহিলাদের এই অসুখ নিয়ে সচেতন হওয়ার। সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এই রোগ।
স্তন, বগোলের আশপাশে কিংবা বুকের উপরের দিকে একটা ফোলা ভাব, দলার মতো হয়ে বাড়তে থাকে। তা অনেক ক্ষেত্রেই স্তন ক্যানসারের উপসর্গ। স্তন থেকে সাদা তরল বেরোনোও আর এক লক্ষণ। এই সব দিকে নজর দেওয়া যায় নিজেই। কোনও রকম অসুবিধা মনে হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তখনই।
প্রতীকী ছবি।
সময়মতো ধরা পড়লে এই রোগ থেকে সেরে ওঠা কঠিন নয়। ম্যামোগ্রাফির মাধ্যমেই মূলত এই রোগ পরীক্ষা হয়। তবে ৪০-এর নীচের মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে এই পরীক্ষা কার্যকর হয় না। এমন ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট এনহান্সড ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আল্ট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই-ও করে দেখা যায়।
২০ বছরের কম বয়সি মহিলাদের নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি। নিজেই করে দেখা যায় পরীক্ষা। খেয়াল রাখতে হবে, ঋতুচক্রের সঙ্গে সময় মিলিয়ে তা করলে ভাল। তার পর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে অন্তত বছরে একবার পরীক্ষা করানো জরুরি। ৩০ থেকে ৬০-এর মহিলাদের প্রতি ছ’মাসে একবার করে কনট্রাস্ট এনহান্সড ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফির মাধ্যমে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
করোনার ভয়ে এই পরীক্ষা এড়িয়ে চললে সঙ্কট বাড়তে পারে। সে দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকেরা।