প্রতীকী ছবি।
মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব হল না? স্বাভাবিকভাবেই কপালে ভাঁজ! এমনিতে পেটে ব্যথার ধাত থাকলে ঋতুকালীন সময়টাকে কোনও রকমে কাটাতে পারলেই বেঁচে যায় মেয়েরা, কিন্তু আবার না হলে বা কম হলেও তো সমস্যা! কারণ নারীর প্রজনন ক্ষমতার সঙ্গে ঋতুস্রাবের যে সরাসরি যোগ আছে! কাজেই সামান্য হেরফের হলেই চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। ঋতুকালীন অবস্থায় একজন নারীর শরীর থেকে সাধারণত ৮০ মিলিলিটার রক্তপাত হয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মহিলার ক্ষেত্রে এই ঋতুস্রাব ৩-৭ দিন স্থায়ী হতে পারে। তাই ঋতুকালীন অবস্থায় ঋতু্স্রাব পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে কি না, এই দিকটায় খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময়ই দেখা যায়, আপনার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম দিন ঋতুস্রাব স্থায়ী হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে খুবই অল্প ঋতুস্রাব কিংবা ‘স্পট ব্লিডিং’-য়ের মতো তাৎক্ষণিক রক্তপাতও দেখা দিতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
কেন কম হয় ঋতুস্রাব?
ঋতুস্রাব কম হওয়ার পিছনে মানসিক চাপ, হরমোনের তারতম্য ইত্যাদি নানা বিষয় জড়িয়ে আছে। থাইরয়েড কিংবা পিসিওডির মতো সমস্যা থাকলে অল্প ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের অসুখ যেহেতু হরমোনের সমতা না থাকার কারণে হয়, তাই এটি সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতাকেও কমিয়ে দিতে পারে। এমনিতেই ৩৫ বছর বয়সের পর মহিলাদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। তবে এই ধরনের কোনও সমস্যাই ফেলে রাখার নয়। ঋতুস্রাব কম হলে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ আপনার ক্ষেত্রে এই সমস্যাটির যথাযথ কারণ কী, সেটা জানা প্রয়োজন। হয়তো হতেই পারে এ ক্ষেত্রে প্রজনন ক্ষমতার সঙ্গে কোনও সংযোগই নেই। তাই আসল কারণটি জানতে, বিষয়টি অবহেলা করবেন না।