প্রতীকী ছবি।
করোনার আবহে বেড়েছে বাড়ি থেকে কাজের প্রবণতা। বহু কর্মক্ষেত্রই এখন কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছে। তার যেমন সুবিধা অনেক, তেমনই অসুবিধার কথাও চিকিৎসকরা বলেছেন। বিশেষ করে মেরুদণ্ডের নানা সমস্যার পরিমাণ বেড়েছে এই পর্যায়ে। তার সঙ্গে যুক্ত হল অন্য এক আশঙ্কাও।
বিজ্ঞানীদের মতে, বাড়ি থেকে কাজ বাড়িয়ে দিচ্ছে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের পরিমাণ। তার কারণ ল্যাপটপের ব্যবহার। যে সব পুরুষ দিনের বড় সময় ল্যাপটপ কোলে রেখে কাজ করেন, তাঁদের শুক্রাণুর পরিমাণ দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে এই অভ্যাসের ফলে।
প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের চিকিৎসক ইয়েলিম সেইনকিন তাঁর গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, দীর্ঘ ক্ষণ কোলে ল্যাপটপ রেখে কাজ করার ফলে অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আর তাতেই এই সমস্যা হচ্ছে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের কয়েক জন চিকিৎসক তিন ধরনের কাজের পদ্ধতির উপর সমীক্ষাটি চালিয়েছেন।
১। হাঁটু দু’টি কাছাকাছি রেখে বসা এবং কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ।
২। হাঁটু দু’টি কাছাকাছি রেখে বসা। কোলে ল্যাপটপ রাখার প্যাডের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ।
৩। হাঁটু দু’টি ৭০ ডিগ্রির আশপাশে ছড়িয়ে বসা। তার পরে কোলে ল্যাপটপ রাখার প্যাডের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ।
প্রথম ক্ষেত্রে ১১ মিনিটের মধ্যেই অণ্ডকোষের তাপমাত্রা ২.৫৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ১৪ মিনিটে তা বেড়েছে ২.১৮ ডিগ্রি। আর তৃতীয় ক্ষেত্রে ২৮ মিনিটে বেড়েছে ১.৪৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।
এই সমীক্ষা থেকে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত, কোলে ল্যাপটপ রেখে কাজ পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। তার মান খারাপ হচ্ছে। তাই বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের পরিমাণ।
চিকিৎসকদের মতে, অফিসে টেবিলে রাখা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করলে এই সমস্যা হয় না। কিন্তু বাড়িতে কাজ করলে অনেকেই টেবিল-চেয়ারে না বসে কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন। তাই এই সমস্যা বাড়ছে।