প্রতীকী ছবি।
ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলাদের শরীর স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশি দুর্বল থাকে। কারও কারও অতিরিক্ত রক্তপাতের প্রবণতাও দেখা দেয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের বিষয় বোধ হয় পেটের ব্যথা। এই পেটের ব্যথা কমাতে কখনও গরম জলে সেঁক দেওয়া, গরম জল খাওয়া কত কী-ই না করতে হয়। তার পর যখন পেটের ব্যথা থেকে নিস্তার মেলে, তখন শরীর একেবারে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে যায়। হয়তো ওষুধ খেলে সহজেই কমবে পেটের ব্যথা। কিন্তু খুব প্রয়োজন না পড়লে ওষুধ না খেতেই বলেন চিকিৎসকরা।
এক কালে ঋতুস্রাবের সময়ে রান্নায় ঠাকুরমা-দিদিমারা নানা ধরনের ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করতেন, তাতে ব্যথা কম হত। এমনকি, এই ধরনের আয়ুর্বেদিক টোটকা জরায়ু ভাল রাখতেও সহায়তা করে। আধুনিক সময়ে আমরা সে সব টোটকা সেকেলে ভেবে ভুলে গিয়েছি। ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর উপযোগী সেই সব আশ্চর্য আয়ুর্বেদিক জিনিসের মধ্যে পরে তিল, মৌরি আর জিরে।
১) বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায় মৌরি। এই মৌরি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ভেষজ চা। ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর অব্যর্থ ওষুধ এটি।
২) ঋতুস্রাব চলাকালীন রান্নায় তিলের তেল ব্যবহার করুন। এ ছাড়া একটু তিলের তেল গরম করে পেটে মাখলেও ব্যথা কম হবে।
মৌরি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ভেষজ চা।
৩) রান্নায় ফোড়ন বা মশলা হিসাবে জিরে ও মৌরির পরিমাণ বাড়ান। আগে রান্নায় মৌরির ব্যবহার খুব প্রচলিত ছিল।
৪) শরীরচর্চা করতে ভালবাসেন? আপনি হয়তো ভাবছেন হাল্কা করে শরীরচর্চা করলে কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু এতেও ব্যথা বাড়তে পারে। তাই ঋতুস্রাবের সময়ে শরীরচর্চা করা থেকে বিরত থাকুন।
৫) ছোট থেকেই প্রচলিত আছে পিরিয়ডের সময়ে টক খেলে পেটে ব্যথা বাড়ে। কিন্তু মিষ্টি খাওয়ার বিষয়ে কোনও সাবধানবাণী শোনেননি তো? পেটের ব্যথা কমাতে হলে এই সময়ে মিষ্টি কোনও খাবার বা চিনিও খাওয়া কমাতে হবে।