প্রতীকী ছবি।
সকালে উঠেই দেখলেন মাথার একটি পাশ ধরে গিয়েছে। হতেই পারে। বেশ রাত পর্যন্ত কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রেখে কাজ করতে হয়। কিন্তু সারাদিন এই মাথাব্যথা থাকলে অন্য কোনও কাজ করা সম্ভব নয়। আবার অনেক সময়ে উল্টোপাল্টা খাবার খেলে কিংবা অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকলেও মাথা ধরে যেতে পারে। ঘন ঘন এমন মাথাব্যথা হলে তো ওষুধও খাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে অনেকটা আরাম পাওয়া যায় বাম লাগিয়ে। কিন্তু সেটাও সব সময়ে মজুত থাকে না। রইল কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যা কম সময়ে মাথাব্যথা কমাতে সক্ষম।
আকুপ্রেশার
বেশ পুরনো এই পদ্ধতি কিন্তু মাথাব্যথার অব্যর্থ দাওয়াই। এটি এক ধরনের মাসাজ করার পদ্ধতি। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও তর্জনীর মাঝের অংশে ডান হাতের বুড়ো আঙুল ও তর্জনী চেপে ধরুন। তার পর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জায়গাটি মাসাজ করুন। একই ভাবে বিপরীত হাতেও করুন। কিছু ক্ষণেই কমবে মাথাব্যথা।
লবঙ্গ
সব বাড়িতে লবঙ্গ মোটামুটি থাকে। একটি চাটুতে লবঙ্গ ভাল করে গরম করে নিন। তার পর একটি পাতলা রুমালে লবঙ্গ মুড়ে নাকের সামনে দিয়ে কিছু ক্ষণ শুঁকুন। আস্তে আস্তে এই গন্ধেতেই মাথাব্যথা কমবে।
প্রতীকী ছবি
আদা
গলা ব্যথা বা সর্দি হলে আদার কুচি চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এতে বেশ আরাম পাওয়া যায়। আদা যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতেই সহায়তা করে। তাই মাথা ধরলে দু’-এক কুচি আদার টুকরো মুখে রেখে দিন, মাথাব্যথা কমে যাবে।
জল
মাথা ধরলে এক কাপ হাল্কা গরম জল অল্প অল্প করে খান, অনেক সময়ে বদহজম থেকে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এই গরম জল খেলে কষ্ট কমবে। এ ছাড়া, শরীরে জলের ঘাটতি হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এক চুমুকে এক গ্লাস জল খেতে পারেন।
নুন দেওয়া আপেল
অনেক সময়ে এত বেশি মাথাব্যথা হয় যে, কোনও টোটকাই কাজে দেয় না। তখন এই টোটকাটির উপরে ভরসা করে দেখতে পারেন। এক-দু’ টুকরো আপেলের উপর নুন ছড়িয়ে খান। মাথাব্যথার তীব্রতা অনেকটাই কমবে।