প্রথম বার খেলে ভাঙের প্রভাব ঠিক কতটা গাঢ় ভাবে পড়বে, তা আগে থেকে বলা যায় না। ছবি: সংগৃহীত।
বসন্ত মানেই দোল। আর এই উৎসবের পরতে পরতে লেগে রয়েছে নানা রঙের বাহার। দোলের দিন ভাঙের স্বাদ না নিলে যেন রঙিন আবহটাই ফিকে হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই বাঙালির দোল উদ্যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে আসছে ভাঙের শরবত। উৎসবের আবহে গা ভাসাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না অনেকেই। চুমুক দিতে থাকেন একের পর এক ভাঙের গ্লাসে। আবার অনেকেই আছেন, যাঁরা এই দোলে প্রথম বার ভাং খাবেন বলে ঠিক করছেন। এমনিতেই এক বার ভাং খেলে তার রেশ পরের কয়েক দিন পর্যন্ত থেকে যায়। ঝিম ভাব, শরীরে ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব। প্রথম বার খেলে ভাঙের প্রভাব ঠিক কতটা গাঢ় ভাবে পড়বে, তা আগে থেকে বলা যায় না। সে কারণে প্রথম বার ভাং খেলেও তার মাত্রাটা যেন কম থাকে। ঢকঢক করে ভাঙের শরবত না খেয়ে, অন্য ভাবেও ভাং খাওয়া যেতে পারে।
কুলফি
বসন্ত হলেও বেশ গরম পড়েছে। দরদর করে ঘামও হচ্ছে। দোলের হুল্লোড়ে, ছোটাছুটিতে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া অস্বাভাবিক হয়। তখন গলা ভেজাতে কামড় বসাতে পারেন ভাং মেশানো কুলফিতে। স্বস্তিও হল, আবার ভাং খাওয়ার শখও পূরণ হল।
ভাঙের শরবত না খেয়ে, অন্য ভাবেও ভাং খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মিষ্টি
দোলের উৎসব হবে আর মিষ্টি মুখ হবে না, তা কী করে হয়। তবে ভাঙের স্বাদও নিতে পারেন মিষ্টির মধ্যে দিয়েই। ভাঙের শরবত কিংবা ঘোল খেলে, প্রথম বার সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে ভাং দেওয়া সন্দেশে কামড় বসাতে পারেন। ততটাও অসুবিধা হবে না।
ভাং চকোলেট
ভাঙের লস্যি তো দোলের চিরাচরিত পানীয়। কিন্তু প্রথম বার ভাঙের স্বাদ নিতে হলে, লস্যির পথে না হেঁটে বরং ভাং দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন চকোলেট। রং খেলার মাঝে এক ফাঁকে খেয়েও নিতে পারবেন ভাং মেশানো চকোলেট।
পান
রঙের দিন লিপস্টিকে নয়, ঠোঁট রেঙে উঠুক পানে। আবিরের গন্ধ আর মিষ্টি পান পাতার স্বাদে আরও রঙিন হয়ে উঠবে রং খেলা। অন্যান্য মশলার সঙ্গে পান পাতায় থাকতে পারে সামান্য ভাং। তবে প্রথম বার খেলে ভাঙের পরিমাণটা অবশ্যই কম রাখবেন। নয়তো পরে নিজেকে সামলাতে পারবে না।