দোলের সকাল থেকেই মেতে উঠবেন রঙের উৎসবে। ছবি: সংগৃহীত।
রাত পেরোলেই দোল উৎসব। আবির রঙে রঙিন হয়ে ওঠার দিন। বাঙালি উৎসব প্রিয়। যে কোনও উদ্যাপনেই জাঁকজমক করে থাকেন। দোলে সেই হুল্লোড়ের মাত্রা যেন দ্বিগুণ হয়। রং খেলার প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। দোলের সকাল থেকেই মেতে উঠবেন রঙের উৎসবে। তবে হুল্লোড়ে মেতে ওঠার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নয়তো সাময়িক আনন্দ পরে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১) দোলের আবহে গা ভাসানোর আগে লম্বা হাতা পোশাক পরে নিন। আবির হোক কিংবা জল রং, ইদানীং সবেতেই মেশানো থাকে রাসায়নিক নানা উপাদান। ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতে হাত এবং পা ঢাকা পোশাক পরে নেওয়া শ্রেয়। রং খেলতে গেলে মুখে তো লাগবেই। তাই রং লাগার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ার, তেল কিংবা ক্রিম মেখে নিন।
২) রং খেলার আনন্দের মাঝে চোখের সুরক্ষা নিতে ভুলবেন না। চোখে যাতে কোনও ভাবেই রং না যায়, সে দিকে লক্ষ রাখুন। খুব ভাল হয় যদি রং খেলতে নামার আগে চোখে একটা রোদচশমা পরে নিতে পারেন। সুরক্ষাও হল, আবার কায়দাও।
৩) রঙের আনন্দে ডুবে যাওয়ার চুলের চাই বিশেষ যত্ন। খেলার পর চুল থেকে রং যেতেই চায় না। রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত রং চুলের ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন রং যাতে চুলে না লাগে। কিন্তু সব সময়ে তা সম্ভব হয় না। তাই আগে থেকে সতর্ক হন। চুলে তেল মেখে খেলতে নামুন। চুলটা খুলে রাখবেন না। দরকারে টপ নট করে বেঁধে নিন। চুলে রং কম যাবে।
রঙের আনন্দে ডুবে যাওয়ার জন্য চুলের চাই বিশেষ যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) বাজারের সব রঙে রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকলেও, একটু খুঁজলে ভেষজ রংও পেয়ে যাবেন। ফুলের পাপড়ি থেকে তৈরি হওয়া নানা রঙের আবির দিয়ে রং খেলুন। ভেষজ আবির বাচ্চা এবং বয়স্কদের গায়েও ছোঁয়াতে পারবেন। অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
৫) পা ঢাকা ট্রাউজ়ারের পাশাপাশি রং খেলতে নামুন স্নিকার পরে। হাওয়াই বা এই ধরনের খোলামেলা জুতোতে পায়ের পাতায় রং লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার চেয়ে পা ঢাকা পাম্পশু কিংবা স্নিকার পরে নিন। সুরক্ষিত থাকবে পায়ের পাতা।