ভেজাল জিরে চেনার সহজ উপায় জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
আটা-ময়দা থেকে চা-কফি, সব্জি থেকে দুধ, এমনকি মশলাপাতি— প্রায় সবেতেই ভেজালের রমরমা। কতটুকু খাঁটি খাবার পেটে যাচ্ছে, আর কতটা ভেজাল ঢুকে শরীরের দফারফা করছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। হেঁশেলে রোজ যে মশলাগুলি কাজে লাগে, যেমন হলুদ গুঁড়ো, ধনে-জিরে গুঁড়ো বা কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, তার সবক’টি খাঁটি কি না তা বোঝার উপায় নেই। বিশেষ করে গোটা জিরেতেও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভেজাল। এই ভেজাল মশলা নিয়ে বার বার সতর্ক করেছে খাদ্যের গুণমান নির্ণায়ক সংস্থা ‘এফএসএসএআই’। তা হলে জেনে নেওয়া যাক ভেজাল চিনবেন কী উপায়ে।
জিরে খাঁটি না তাতে ভেজাল মেশানো চিনবেন কী ভাবে?
১) জিরে বাজার থেকে কিনে এনে একটি থালায় ছড়িয়ে দেখে নিন। ভেজাল জিরেতে পাথরের টুকরো, সুজির দানা মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
২) জিরের আকার ও রংও দেখতে হবে। খাঁটি জিরে হলে সবকটির আকার একই রকম হবে। আর ভেজাল হলে দেখবেন সবক’টির আকার সমান নয়। রংও আলাদা। তখন বুঝতে হবে সেগুলি আসল নয়। আর যদি দেখেন গোটা জিরে খুব চকচক করছে, তখন সতর্ক হতে হবে। তেমন জিরে না কেনাই ভাল।
৩) আসল জিরের গন্ধ ঝাঁঝালো। কয়েকটি হাতের তালুতে নিয়ে ঘষে দেখে নিন। যদি ঝাঁঝ থাকে, তা হলে বুঝতে হবে আসল। ভেজাল জিরেতে কোনও গন্ধই থাকবে না।
৪) কয়েকটি জিরে এক গ্লাস জলে ফেলে দিল। ৫ মিনিট পরে যদি দেখেন সবক’টি জিরে গ্লাসের তলায় থিতিয়ে গিয়েছে, তা হলে বুঝতে হবে সেগুলি আসল। ভেজাল জিরে জলের উপরে ভেসে উঠবে।
৫) জিরের স্বাদ তিক্ত। কয়েকটি কাঁচা জিরে চিবিয়ে দেখুন। যদি স্বাদ তিক্ত ও কষাটে মনে হয়, তা হলে সেগুলি আসল। নকল জিরের স্বাদ তিক্ত হবে না।
৬) রঙিন ঘাসের বীজ থেকে ভেজাল জিরে তৈরি হচ্ছে। তাই দোকান থেকে কিনে এনে কয়েকটি জিরে হাতের তালুতে নিয়ে ঘষে দেখবেন। যদি রং কালো হয়ে যায়, তা হলে সেগুলি আসল। ভেজাল জিরের রং কালো হবে না।