টিফিনে আনা মাছ, মাংস টাটকা থাকছে তো? ছবি: সংগৃহীত।
নিরামিষ খেতে একেবারেই ইচ্ছা করে না। তাই অফিসের টিফিনে অধিকাংশ সময় থাকে ডিম, মাছ কিংবা মাংস। অফিসে কাজের চাপ কম নয়। খেতে খেতে অনেকটাই বেলা গড়িয়ে যায়। প্রশ্ন হল আমিষ খাবার ঠিক কত ক্ষণ পর্যন্ত টিফিন কৌটোয় ভাল থাকে ?
বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, আমিষ খাবার একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে নষ্ট হতে শুরু করে। তাই টিফিন কৌটোয় বেশি ক্ষণ খাবার ভরে রাখা উচিত নয়। সামুদ্রিক খাবার, ডিম, মাংসে একটা সময়ের পর সালমোনেলা, ই.কলি ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। সেগুলি শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে টিফিন কৌটোতে খাবার ভরার পর খানিক ক্ষণ ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জরুরি। তার পর কৌটোর ঢাকনা আটকানো উচিত।
কোন খাবারের ক্ষেত্রে কী ধরনের সতর্কতা নেবেন?
সামুদ্রিক খাবার
চিংড়ি বা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের পদ টিফিন বাক্সে ভরার আগে অতি অবশ্যই ঠান্ডা করে নিতে হবে। গরম অবস্থায় টিফিন বাক্সে ভুলেও ভরবেন না। তাতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
দুধের তৈরি কোনও পদ
বাড়িতে বাটার চিকেন হয়েছে। অফিসের টিফিনে তাই রুটির সঙ্গে সেটাই নিয়ে যাবেন বলে ভেবেছেন। শরীর নিয়ে বিপাকে পড়তে না চাইলে এই ভাবনা দূরে সরিয়ে রাখুন। দুগ্ধজাতীয় খাবার রান্নার অনেক পরৈ খেলে পেটের গোলমাল অবধারিত।
ঝোল জাতীয় মাংসের পদ
ফ্রাই হলে আলাদা কথা। তবে মাংসের ঝোল কিংবা কষা নিয়ে গেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি না নিয়ে মাংসের ভাজাভুজির কোনও পদ নিয়ে যেতে পারেন।