—প্রতীকী ছবি।
শীতকালে সমস্যা বাড়ে, তবে সারা বছরই খুশকির সমস্যায় নাজেহাল থাকেন অনেকেই। বর্ষাতেও খুশকির সমস্যা যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। খুশকির কারণে অপ্রস্তুতেও পড়তে হয় অনেক সময়। চুলে চিরুনি চালালেই কাঁধের একপাশ ভরে যায় খুশকিতে। দেখতে খারাপ তো লাগেই, সেই সঙ্গে খুশকির জন্য চুলের অবস্থাও বেহাল হয়ে পড়ে। চুলের গোড়া থেকে ক্ষতি করে খুশকি। অত্যধিক পরিমাণে চুল ওঠার নেপথ্যেও রয়েছে এটি। টেলিভিশনের পর্দায় বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই খুশকি তাড়ানোর শ্যাম্পু কিনে ব্যবহার করেন। তাতে সাময়িক লাভ হলেও দীর্ঘস্থায়ী কোনও সমাধান পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে খুশকির সমস্যারও সমাধান হবে, আবার চুলও ঝলমলে হবে। রইল খুশকি তাড়ানোর কয়েকটি ঘরোয়া কৌশলের খোঁজ।
নারকেল তেল
চুলের খেয়াল রাখতে নারকেল তেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারকেল তেল খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে। কিন্তু নারকেল তেল কী ভাবে ব্যবহার করলে তবেই সমাধান পাবেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে নারকেল তেল মাথায় মালিশ করুন। তার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার ভাল করে নারকেল তেল ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে।
অ্যালো ভেরা জেল
ত্বকের যত্নে অ্যালো ভেরা জেল সত্যিই উপকারী। ত্বকের অনেক সমস্যার সহজ সমাধান করে করে এই জেল। তবে শুধু ত্বক নয়, চুলের যত্নেও অ্যালো ভেরা জেলের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে খুশকি তাড়াতে অ্যালো ভেরা জেল সত্যিই উপকারী। স্নানের ঘণ্টাখানেক আগে অ্যালো ভেরা জেল মাথার তালুতে ভাল করে মালিশ করে নিন। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে। খুশকির সমস্যাও দূরে চলে যাবে।
রসুন
রান্নায় স্বাদ আনতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি, রসুন খুশকি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে মাথায় রসুন ব্যবহারের পদ্ধতিটি জেনে নিতে হবে। কয়েক কোয়া রসুন খোসা ছাড়িয়ে অলিভ অয়েলের সঙ্গে গরম করে নিন। ঠান্ডা হলে মাথার ত্বকে ভাল করে মালিশ করে নিন। রসুনের গন্ধ খুব ঝাঁঝালো হয়। তাই শুধু জল দিয়ে চুল ধুলে হবে না। রসুন-তেল মাথায় মেখে শ্যাম্পু করে নেওয়াই ভাল।