তুরস্কের জনপ্রিয় খাবার বাড়িতেই বানাতে পারবেন, জেনে নিন প্রণালী। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের সকাল আর ছুটির সকাল এক হলে আরামের ঘুমের মেয়াদ বাড়ে। বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে হয় না। ফলে সকালের বদলে প্রাতরাশের সময় গিয়ে দাঁড়ায় বেলায়। দুপুরের খাবারের সময়ও স্বাভাবিক ভাবেই পিছোতে থাকে। ছুটির দুপুরে মাংস-ভাতের দুর্বলতা যদি না থাকে তবে তুরস্কের একটি খাবার ‘ব্রাঞ্চ’ হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। তাতে এক খাবারে ব্রেকফাস্ট এবং লাঞ্চ দুয়েরই কাজ মিটবে।
তুরস্কের ওই খাবারের নাম শাকসুকা। সামান্য কিছু উপকরণ, ডিম আর টম্যাটো দিয়ে তৈরি ওই খাবার যদিও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা জুড়েই খাওয়ার চল রয়েছে। শীতপ্রধান অঞ্চলের ওই খাবার খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই শীতে শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখার জন্যও কার্যকরী। তা ছাড়া টম্যাটোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ডিমেরও স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তাই শীতের সকালে ওই প্রাতরাশ পুষ্টিকরও।
উপকরণ:
২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১টি পেয়াঁজ কুচোনো
২ কোয়া রসুন কুচোনো
১ চা চামচ জিরে ভেজে গুঁড়োনো
২ চা চামচ শুকনো লঙ্কা সেঁকে গুঁড়িয়ে নেওয়া
৩ টেবিল চামচ টম্যাটো পিউরি
৪০০ গ্রাম টম্যাটো মাঝারি টুকরোয় কেটে নেওয়া
১/৪ কাপ জল
৪ টি ডিম
স্বাদ মতো নুন
স্বাদ মতো মরিচ বা লাল লঙ্কাগুঁড়ো
পরিবেশনের জন্য
১-২ টেবিল চামচ পার্সলে বা ধনেপাতা কুচি
২টি পাউরুটি টোস্ট
৫০ গ্রাম ফেটা চিজ
প্রণালী:
মাঝারি আঁচে প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ আর রসুন ৩-৪ মিনিট ভাজুন। নরম হয়ে এলে ভাজা জিরে আর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে আরও ১ মিনিট নাড়াচাড়া করে টম্যাটো পিউরি, কুচোনো টম্যাটো, জল দিয়ে সিম আঁচে ৪-৫ মিনিট রান্না করুন। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে নুন, শুকনো লঙ্কা অথবা গোলমরিচের গুঁড়ো দিন স্বাদ মতো।
এ বার ফুটতে থাকা টম্যাটোর মিশ্রণে হাতা দিয়ে চারটি ফাঁকা জায়গা তৈরি করে তাতে একটি করে ডিম ভেঙে দিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে দু’মিনিট রান্না হতে দিন। ঢাকা খুলে যদি দেখেন সাদা অংশটি জমতে শুরু করেছে এবং কুসুম তখনও তরল রয়েছে, যেমনটা পোচে থাকে, তবে আঁচ থেকে পান সরিয়ে নিন।
পরিবেশন:
প্লেটে টম্যাটোর গ্রেভি কয়েক চামচ দিয়ে তার উপর একটি করে ডিম সাজিয়ে দিন। তার উপরে সামান্য ফেটা চিজ গুঁড়িয়ে উপরে ধনেপাতা বা পার্সলে পাতা ছড়িয়ে টোস্ট করা পাউরুটি পাশে রেখে পরিবেশন করুন।