সকালের জলখাবার খাওয়ার পর দু’চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবার খাওয়ার পর দু’চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে অনেকেরই। ছুটির দিন হলে দিবানিদ্রা দেওয়া সম্ভব হলেও অফিস থাকলে তা হয় না। ঘুম জড়ানো চোখ নিয়েই ছুটতে হয়। অফিসে গিয়ে হাতে হাজার কাজ থাকলেও আলসেমি যেন কিছুতেই কাটতে চায় না। ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর ঘুম পাওয়ার বিষয়টির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। ভাতঘুম অনেকের খুব প্রিয়ও। কিন্তু সকালের খাবার খেয়েও কেন ঘুম পায়? কোন কারণগুলি লুকিয়ে আছে নেপথ্যে?
শরীরে আর্দ্রতা কমে যাওয়া ঘুম পাওয়ার অন্যতম কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া
সকালের জলখাবারে পাউরুটি, সিরিয়ালস, ওট্স থাকে অনেকেরই। এই খাবারগুলিতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে খালি পেটে এগুলি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বেড়ে যায়। এই কারণে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ঘুম পায়।
খাবারের পরিমাণ
দুপুর এবং রাতে হালকা খান বলে সকালের জলখাবারে ভারী কিছু খান অনেকেই। পরিমাণেও খানিক বেশি থাকে। দিনের শুরুতে ভারী খাবার খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন পুষ্টিবিদেরা। তবে পরিমাণে বেশি খেলে হজমের গোলমাল হয়। সেখান থেকেই শারীরিক দুর্বলতা তৈরি হয়। ফলে ঘুম ঘুম পায়।
প্রোটিন কম খাওয়া
শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা এবং চনমনে রাখতে প্রোটিন বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। সকালের জলখাবারে রুটি, পরোটা, পাস্তা, চাউমিন থাকে অনেকেরই। এই খাবারগুলিতে প্রোটিনের পরিমাণ অত্যন্ত কম। সকালের দিকে শরীরে যথেষ্ট প্রোটিন না যাওয়ার কারণে এমন লাগে। তাই সকালের দিকে ডিম, দই, ফল বেশি করে খাওয়া জরুরি। তা হলে আর এমন হবে না।
জল কম খাওয়া
শরীরে আর্দ্রতা কমে যাওয়া ঘুম পাওয়ার অন্যতম কারণ। সকাল অফিস বেরোনোর তাড়াহুড়ো কোনও রকমে খাবার মুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়েন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া হয় না। জল কম খাওয়ার ফলে শরীর ভিতর থেকে আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। সেই কারণে ঘুম পায়।