পুজো শেষে ফুল ফেলে দিচ্ছেন? তা কিন্তু নানা কাজে লাগানো যায়। ছবি: ফ্রিপিক।
উৎসব হোক বা পুজো, কাজ মিটে গেলে শুকনো ফুল কেউ জলাশয়ে ফেলেন, কেউ অন্য কোথাও। ফুল জলাশয়ে ফেললে, জলজ প্রাণীর ক্ষতি হয়। বদলে এই শুকিয়ে যাওয়া ফুলকেই কাজে লাগাতে পারেন নানা ভাবে। এতে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হবে না, তেমনই শুকনো ফুলও কাজ লাগবে।
সার
শুকনো ফুল দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন জৈব সার। টব হোক বা বাগানে লাগানো গাছ, এই সারেই দিব্যি বেড়ে উঠবে। একটি ব্যাগে বা বস্তায় সমস্ত শুকনো ফুল জড়ো করুন। বাড়িতে বাগান থাকলে, সেখানে গাছ থেকে ফুল-পাতা ঝরে পড়ে। এগুলিও মিশিয়ে নিতে পারেন। বস্তাবন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে, এক সময় পচে গিয়ে এ থেকেই সার তৈরি হয়ে যাবে।
পটপুরি
শুকনো ফুল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন পটপুরি। শুকনো গাছ, পাতা দিয়ে তৈরি পটপুরির মাধ্যমে ঘরে প্রাকৃতিক ভাবে সুবাসিত হয়। ফুলের পাপড়িগুলি পাতা থেকে আলাদা করে নিন। তার পর সেগুলি রোদে শুকিয়ে নিন। সেই শুকনো পাপড়ির সঙ্গে মশলা, যেমন দারচিনি এবং এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। একটি সুদৃশ্য বাটিতে এগুলি রেখে দিলে ঘর প্রাকৃতিক সৌরভে ভরে উঠবে।
প্রাকৃতিক রং
গোলাপ, জবা, গাঁদা বা রঙিন ফুল জলে ফুটিয়ে নিতে পারেন। তার পর সাদা গেঞ্জি হোক বা কোনও পোশাক সেই জলে চুবিয়ে রাখলে তাতে ফুলের রংটি ধরে যাবে।
গোলাপ জল
গোলাপ ফুল ফেলে দেওয়ার বদলে সেটি জলে ফুটিয়ে নিতে পারেন। গোলাপ জল রূপচর্চায় ব্যবহার হয়। গোলাপের পাপড়ি জলে ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। টোনার হিসাবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
পাপড়ি দিয়ে নকশা
গোলাপ, অপরাজিতা-সহ বিভিন্ন ফুলের পাপড়ি কেটে জুড়ে বিভিন্ন রকম নকশা তৈরি করতে পারেন। কোনও আঁকার উপরেও পাপড়ি আঠা দিয়ে লাগিয়ে নকশা করা যায়। আবার সাদা কাগজে শুকনো গোলাপ ও অন্যান্য ফুল বোকের আকারে আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফ্রেমবন্দি করে রাখতে পারেন।