রকমারি ‘ওয়াল প্লেট’ ব্যবহার করতে পারেন অন্দরসজ্জায়। ছবি: সংগৃহীত।
বসার ঘর হোক বা খাওয়ার ঘর, থ্রিডি ‘ওয়াল আর্ট’ থেকে রকমারি দেওয়ালসজ্জায় বদলে ফেলা যায় অন্দরের রূপ। কারও কারও বাড়িতে ডাইনিং ও ড্রয়িং রুম একই সঙ্গে থাকে। ফলে বড় জায়গা, বড় দেওয়াল পাওয়া যায়। উৎসবের মরসুমে বাড়ি অন্য ভাবে সাজাতে চাইলে, সব কিছু না বদলেও পাল্টে ফেলতে পারেন দেওয়ালের সাজ।
‘ওয়াল প্লেট’
খাওয়ার ঘরে বা বাড়ির যে অংশটিতে ডাইনিং টেবিল রেখেছেন, সেই স্থানের দেওয়ালটি সাজিয়ে ফেলতে পারেন ছোট-বড় রকমারি ‘ওয়াল প্লেট’ দিয়ে। দেওয়ালসজ্জার জন্যেই বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন উক্তি লেখা ‘ওয়াল প্লেট’ পাওয়া যায়। কোনওটিতে সাদার উপর নকশা থাকে, কোনওটি ধাতব। আবার অন্দরসজ্জায় চিনামাটির প্লেট বা পিতল বা তামার থালাও ব্যবহার করা যায়। জ্যামিতিক আকারে সেগুলি সাজিয়ে ফেললে অন্দরসজ্জা অন্য রূপ পাবে।
ম্যাপ
বেড়াতে যাওয়ার শখ থাকলে এবং অন্দরসজ্জার সঙ্গে খাপ খেলে বড় এবং চওড়া দেওয়ালে সাজিয়ে নিতে পারেন বিশ্বের ম্যাপ দিয়েও। দেওয়ালে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ম্যাপ পাওয়া যায়। দেওয়ালের একটি অংশে লোহার বোর্ড রেখে সেখানে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কিনে আনা চুম্বক লাগানো স্মারকও সাজিয়ে নিতে পারেন। অনেকেই যে জায়গায় বেড়াতে যান, স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে সেখান থেকে এই ধরনের স্মারক সংগ্রহ করেন। সেগুলি গৃহসজ্জায় কাজে লাগানো যায়।
বেড়িয়ে আসার স্মারকগুলিও এ ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারেন দেওয়ালে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘড়ি
বড়সড় কোনও ঘড়ি দিয়েও সাজিয়ে তুলতে পারেন দেওয়াল। ছবি: সংগৃহীত।
দেওয়ালের সঙ্গে মানানসই ঘড়িও কিন্তু ঘরের ভোল বদলে দিতে পারে। শুধু বিভিন্ন আকারের ঘড়ি নয়, থ্রিডি দেওয়ালসজ্জার সঙ্গেও ঘড়ি পাওয়া যায়। কাঠের গুঁড়ির নকশাতেও ঘড়ি পাওয়া যায়। নিজের রুচি-পছন্দ অনুযায়ী কিনে, সঠিক ভাবে সেটিকে আটকে দিলেই পাল্টে যাবে ঘরের রূপ।
নকশি কাঁথা
দেওয়াল সজ্জায় ব্যবহার করতে পারেন নকশি কাঁথা বা নকশা করা বিভিন্ন কাপড়। অ্যাপ্লিকের কাজ থেকে কাপড়ের উপরে ফুটিয়ে তোলা মধুবনি শিল্পকল্পা, সেলাই করে ফুটিয়ে তোলা নকশা, পৌরাণিক কাহিনি দিয়েও দেওয়াল সাজানো যায়।