বেশ কিছু গাছ আছে যেগুলি পোকামাকড়ের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করে। ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টি হলেও গরমের দাপট যে একেবারে কমে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। তার উপর রাতের দিকে প্রায়ই লোডশেডিং হচ্ছে। এক বার অন্ধকার হলে মশার জ্বালায় ঘরে থাকাই দায়। এমনিতে রাসায়নিক স্প্রে দিয়ে মশা, মাছি বা টিকটিকির মতো কীটপতঙ্গের উপদ্রব সাময়িক ভাবে ঠেকিয়ে রাখাই যায়। এই স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহার যে শরীরে নানা রকম বিপত্তি দেখা দিতে পারে, সে কথা কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু সমস্যা এড়াতে এক রকম বাধ্য হয়েই এ জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যা বাড়িতে রাখলে কীটপতঙ্গের উপদ্রব কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়।
কোন কোন গাছ বাড়িতে রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমতে পারে?
১) নিম
মশা, মাছি, পিঁপড়ের মতো বহু কীটপতঙ্গের যম হল নিম। প্রাকৃতিক কীটনাশক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই নিমপাতার তেল।
২) তুলসী
তুলসীর ওষধি গুণের কথা অনেকেই জানেন। তবে তুলসী পাতার গন্ধে যে পোকামাকড় দূরে থাকে, তা জানেন না অনেকেই। বাড়িতে তুলসী গাছ রাখলে মশা, মাছি বা অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেকটাই কম থাকে।
পোকামাকড়ের বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে ফেলতে পারে লেমনগ্রাস। ছবি: সংগৃহীত।
৩) লেমনগ্রাস
মশা, মাছি, পোষ্যের গায়ে বাস করা পরজীবী পোকামাকড়ের বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে ফেলতে পারে লেমনগ্রাস। বাড়িতে এই গাছ রাখলে আলাদা করে ‘রুম স্প্রে’ ব্যবহার করার প্রয়োজন না-ও হতে পারে।
৪) সিট্রোনেলা
মশা, মাছি, পিঁপড়ের উপদ্রব কমানোর জন্য অনেকেই ঘর মোছার জলে সিট্রোনেলা তেল মিশিয়ে থাকেন। বেশির ভাগ তরল ফিনাইলেও এই ভেষজের নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
৫) পুদিনা
গরমকালে বিভিন্ন পানীয়ে পুদিনা পাতা দেবেন বলে বারান্দায় রাখা টবে পুদিনা গাছ পুঁতেছিলেন। গাছগাছালির বিষয়ে অভিজ্ঞেরা বলছেন, এই পুদিনার গন্ধে কিন্তু মশা, মাছি, পিঁপড়ের মতো পোকামাকড়ের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।