ধূমপান করার ফলে দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন? ছবি: সংগৃহীত।
পেশায় সাংবাদিক বছর তিরিশের অনির্বাণ নিয়মিত ধূমপান করেন। কাজের ফাঁকে চা খেতে গেলেই এক বার সুখটান না দিলে চলে না। ফলে দাঁতের উপরে নিকোটিনের কালচে স্তর জমেছে। দিন কয়েক আগে দাঁতের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন, ধূমপানের অভ্যাসের কারণেই দাঁতের বারোটা বেজেছে।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম আমরা বুঝি না। বয়স যত বাড়ে, ততই বাড়তে থাকে দাঁতের ক্ষয়, ব্রাশ করার সময়ে মাড়ি থেকে রক্তপাত ও দাঁতের যন্ত্রণার মতো সমস্যা। ৬০ থেকে ৭০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছলেই দাঁত তোলা বা রুট ক্যানাল হয়ে পড়ে অবশ্যম্ভাবী। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে অবশ্য দাঁতের সমস্যাগুলি বয়সের আগেই দেখা দিতে শুরু করে। অথচ প্রথম থেকেই একটু একটু করে দাঁতের যত্ন নিলে সমস্যাগুলি এড়ানো যায়।
দাঁতের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
দাঁতের যত্ন নিতে কী কী করবেন?
১) দিনে দু’বার দাঁত মাজার সুফল জানা থাকলেও অনেকেই তা করেন না। দাঁতের যত্ন নিতে চাইলে সকালের পাশাপাশি রাতে ঘুমোনোর আগেও দাঁত মাজার অভ্যাস করতে হবে। ধূমপায়ীদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।
২) টিভিতে চোখ রাখলেই একাধিক সংস্থার বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। কোনও টুথপেস্টে নুন আছে বলে দাবি করা হয়, কোনও টুথপেস্ট নাকি আবার প্রাকৃতিক নানা উপাদানে ভরপুর। তবে ধূমপায়ীদের টুথপেস্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাতে ফ্লুরাইড আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।
৩) কেবল ব্রাশ করলেই চলবে না, চেষ্টা করুন দিনে এক থেকে দু’বার কোনও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হয় না আর দাঁতের উপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও সরে যায় সহজেই। বিশেষ করে আপনি যখন বাড়ির বাইরে থাকেন, তখন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
৪) প্রত্যেকেরই বছরে দু’বার করে দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীরা আরও বেশি বার গেলে ভাল। ধূমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়েই বাকিদের তুলনায় বেশি। তাই বছরে অন্তত দু’বার স্কেলিং করানো জরুরি।
৫) খাওয়াদাওয়ার পর সব সময়ে মুখে জল দিয়ে কুলকুচি করে নিন। ধূমপান করার পরে সময় করে কুলকুচি করে নিতে হবে। না হলে নিকোটিনের স্তর জমে দাঁতের ক্ষতি বেশি হয়।