গরমে গাছে রোজ জল দেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
গরম, অতিরিক্ত ঘামের কারণে মানবদেহে জলের অভাব হয়। প্রখর তাপে মাটিও ফুটিফাটা হয়ে যায়। ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনেকটা নীচে নেমে যায়। বারান্দা কিংবা বাগানে রাখা গাছও নেতিয়ে পড়ে। গাছের পাতা হলুদ হয়ে, শুকিয়ে যেতে শুরু করে। গরমে সুস্থ থাকতে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। গাছেদেরও তো প্রাণ আছে। গরমে ওদেরও কষ্ট হয়। ‘ওআরএস’ না হোক নিয়ম করে দু’বেলা সব ধরনের গাছেই জল দিয়ে যাচ্ছেন। গাছের বিষয়ে যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরা বলছেন, এতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। গরমে গাছেদেরও জল প্রয়োজন। তবে, সব ধরনের গাছে একই রকম ভাবে জল দেওয়া যায় না। গাছের ধরন বুঝে জলের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হয়। গাছে জল দেওয়ার সময়ে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়।
১) সাকুলেন্ট গোত্রের গাছ যেমন বেশি জল পছন্দ করে না। একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এই ধরনের গাছের পাতা অন্যান্যদের তুলনায় মোটা হয়। কারণ, তারা পাতার মধ্যে জল ধরে রাখে। শীতকালে তো বটেই, এমনকি গরমেও দু-এক দিন ছাড়া এই ধরনের গাছে জল দেওয়া যায়।
২) অনেক সময়ে গরমে, তাপে গাছের পাতা ঝলসে যায়। কিন্তু গাছটি হয়তো বেশি জল পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে গাছের পাতায় জল স্প্রে করা যেতে পারে।
৩) অনেকেরই ধারণা গরমকালে গাছে বেশি করে জল দিতে হয়। অভিজ্ঞরা বলছেন, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। গাছে জল দিন। কিন্তু, এত জল দেবেন না যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে যায়।
৪) ঘরের মধ্যে যে সব গাছ রাখেন, তাদেরও খুব বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। এক দিন অন্তর গাছের পাতায় জল স্প্রে করতে পারেন। টবের মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই গাছের গোড়ায় জল দেবেন। জল দেওয়ার আগে মাটি হাত দিয়ে দেখে নিতে পারলে আরও ভাল হয়।
৫) গাছে জল দেওয়ার কিন্তু নির্দিষ্ট সময় আছে। সকালে চড়া রোদ ওঠার আগেই গাছে জল দিয়ে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারলে বিকেলে রোদ পড়ার পর। গাছের পাতা নেতিয়ে যাচ্ছে বলে যখন-তখন জল দিলে গাছের ক্ষতি হতে পারে।