কোন প্রাণায়ামে শরীর ঠান্ডা থাকে? ছবি: ফ্রিপিক।
কলকাতায় উট না চরে বেড়ালেও তাপমাত্রা মরুশহরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ইচ্ছে না থাকলেও চড়চড়ে রোদ, তাপপ্রবাহের মধ্যে কাজে যেতে হচ্ছে। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যেই এসি চালাতে যাবেন, অমনি লোডশেডিং! নিত্যদিন এই চলছে। তার সঙ্গে জুড়ে বসেছে র্যাশ, ঘামাচির সমস্যা। বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও অম্বল হচ্ছে। গলা-বুক জ্বালা করছে। এর মধ্যে কাঁহাতক মাথা ঠান্ডা রাখা যায়? তবে যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, গনগনে গরমের মধ্যেও শরীর-মন ঠান্ডা রাখতে পারে শীতলী প্রাণায়াম।
শীতলী প্রাণায়াম কী?
নাম থেকেই স্পষ্ট, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শীতল হওয়ার সম্পর্ক। সংস্কৃত শব্দ ‘শীত’ মানে ঠান্ডা। সেখান থেকেই শীতলী প্রাণায়ামের আবির্ভাব। এই প্রাণায়ামকে অনেকে ‘কুলিং ব্রিদ’ নামেও জানেন। সহজে চটজলদি শরীর, মন ঠান্ডা করার এর চেয়ে ভাল পদ্ধতি আর হয় না।
কী ভাবে কাজ করে এই প্রাণায়াম?
শীতলী প্রাণায়াম করলে শরীরে স্বাভাবিক উদ্বায়ী প্রক্রিয়াটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই প্রাণায়াম করলে দেহের অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। গরমে হজমের গোলমাল, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কী ভাবে করবেন এই প্রাণায়াম?
প্রথমে হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসুন। মনকে শান্ত রাখুন। পাঁচ-ছ’বার স্বাভাবিক শ্বাস নিয়ে এই প্রাণায়াম শুরু করুন। মুখগহ্বরের ভিতর থেকে জিভ সামান্য একটু বাইরে বার করে নিন। গোল ‘ও’-এর মতো করে প্রথমে শ্বাস টানতে শুরু করুন। একসঙ্গে মুখ ও নাক উভয় দিয়েই চলবে শ্বাসগ্রহণ। এ বার শ্বাস ছাড়তেও হবে নাক ও মুখ দিয়ে। পাঁচ থেকে দশ বার পর্যন্ত করা যায়।
শীতলী প্রাণায়াম অভ্যাস করলে কী উপকার মেলে?
১) যাঁদের পিত্তদোষ রয়েছে, তাঁদের জন্য এই প্রাণায়াম ভাল।
২) দেহের তাপমাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে গেলে তা আবার স্বাভাবিক জায়গায় নিয়ে আসে।
৩) পেটের গোলমাল, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা নির্মূল করে।
৪) ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে।
৫) শরীরের পাশাপাশি মানসিক চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।