— প্রতীকী চিত্র।
পুজোর আগে আর মাত্র কয়েক দিন হাতে রয়েছে। তার আগে বাড়তি মেদ ঝরানোর লক্ষ্যে ভাত, রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ, শরীরে বাড়তি মেদ জমার পিছনে যে কার্বোহাইড্রেটের হাত রয়েছে, তা মাথায় গেঁথে গিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ভাত-রুটি না খেলে তার প্রভাব শরীরের জন্য ভাল না-ও হতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলেন, শরীরের সমস্ত কলকব্জা সচল রাখতে গেলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের মতো জরুরি উপাদানগুলির জোগান দিতেই হবে। বয়স এবং শারীরিক সুবিধা-অসুবিধা বুঝে ব্যক্তিবিশেষে প্রতিদিন ৬০ থেকে ১৩০ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া যেতেই পারে।
১) ওজন ঝরায়
মেদ ঝরাতে গেলে অনেকেই কার্বহাইড্রেট বাদ দিয়ে ফাইবারজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু ফাইবারের তুলনায় কার্বহাইড্রেট অত্যন্ত সহজপাচ্য। যা হজমে কোনও সমস্যা তৈরি করে না। উল্টে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
২) হার্ট ভাল রাখে
সহজপাচ্য যে কোনও খাবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে কার্বোহাইড্রেট এই দিক থেকে নিরাপদ।
৩) স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকলে তা মানুষের স্মৃতির উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে মধ্যবয়সিদের এই সমস্যা ভোগ করতে হয় বেশি।
৪) শক্তি বাড়িয়ে তোলে
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কার্বোহাইড্রেট হল সকল শক্তির উৎস। প্রতি দিনের সমস্ত কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে হলে ভাত, রুটি খাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিন এবং ফ্যাটের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
৫) পেশি মজবুত করে
পেশি মজবুত করতে হলে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, পেশির গঠনে প্রোটিনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কার্বোহাইড্রেট।