রাতে রুটির সঙ্গে বানিয়ে ফেলতে পারেন মটন পায়া। ছবি: ফ্লেভার্স অফ মাই কিচেন
বড় ভুল হয় আজকাল। দূর সম্পর্কের অর্ধেক আত্মীয়ের নাম মনে করতে পারেন না। দু’বছর আগে কেনা কাঞ্জিভরমটি কত টাকা দিয়ে কিনেছিলেন, বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। আচ্ছা এত কিছু ভুলে যান। কিন্তু ডাক্তারের এত বারণ সত্ত্বেও খাসির মাংসের কথা কেন ভোলা যায় না বলুন দেখি?! উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড—এই সব রোগের জন্যেই তো খাসির মাংস খাওয়া স্রেফ গল্পে পরিণত হয়েছে। কিন্তু খাসির গন্ধ-বর্ণ-স্বাদ তো একেবারে ভুলে যেতে পারেননি! তবে খাসি মানেই কষা, ভুনা বা ঝোল নয়। মাঝে মধ্যে স্বাদবদল করতে ইচ্ছে করে। তাই রাতে রুটির সঙ্গে বানিয়ে ফেলতে পারেন মটন পায়া। কী ভাবে বানাবেন? রইল রেসিপি।
উপকরণ:
খাসির পায়া (পায়ের বিশেষ অংশ): ৬ টুকরো
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
টোম্যাটো: ১ কাপ
সর্ষের তেল: ৬ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৩ টি
গোটা মৌরি: ১ চা চামচ
গোটা জিরে: ১ চা চামচ
দারচিনি: ২ ইঞ্চি
তেজপাতা: ১টি
লবঙ্গ: ৪টি
আদা বাটা: ৩ চা চামচ
রসুন বাটা: ৪ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ২ চা চামচ
ধনে পাতা: আধ কাপ
লেবুর রস: ২ চা চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী:
১) প্রথমে প্রেশার কুকারে সামান্য তেল গরম করে নিন।
২) এর মধ্যে দিয়ে দিন তেজপাতা, গোটা জিরে, মৌরি, লবঙ্গ।
৩) সামান্য গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
৪) পেঁয়াজ একটু ভাজা হয়ে এলে আদা-রসুন বাটা দিন।
৫) মিনিট দুয়েক পরে প্রেশার কুকারে দিন টোম্যাটো।
৬) আরও কিছুটা ভাজা হয়ে এলে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং নুন দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
৭) মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে খাসির পায়া দিয়ে দিন।
৮) ভাল করে কষিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে প্রেশার কুকারের মুখ বন্ধ করে দিন।
৯) সেদ্ধ হয়ে এলে মিনিট দশেক পর প্রেশার কুকারের মুখ খুলে আরও কিছু ক্ষণ রান্না করুন।
১০) পরিবেশন করার আগে উপর থেকে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।