পোষ্যদের কোন ৫ খাবার ভুলেও খাওয়াবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে অ্যালার্মের প্রয়োজন পড়ে না, তার চিৎকারেই ঘুম ভেঙে যায়। সারা দিন ধরে চলে তার দাপাদাপি। লেজ নাড়িয়ে সারাটা বাড়িতে তার অবাধ বিচরণ। গোটা বাড়িটাকেই আনন্দে ভরিয়ে রাখে আপনার পোষা কুকুরছানা। তার যত্ন-আত্তিতে আপনিও কোনও ত্রুটি রাখেন না। তার স্নান থেকে ঘুম, খাওয়াদাওয়া— সব দিকেই আপনার কড়া নজর। পরিবারের আর পাঁচটা সদস্যের মতো অজান্তেই সে পরিবারের এক জন হয়ে উঠেছে। আপনারা যা যা খান, কুকুরছানাটিকেও সেগুলি খেতে দেন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপদ ডাকতে পারে। আসলে মানুষ খায়, এমন বহু খাবারই কুকুরকে খাওয়ানোটা ঠিক না। এতে কুকুরছানার ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন, কোন খাবারগুলি আপনার জন্য ভাল হলেও কুকুরদের জন্য ক্ষতিকারক।
চকোলেট: চকোলেটে থাকে মিথেলজ়্যান্থিন নামে একটি যৌগ, যা কুকুরের বিপাকপ্রক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে। সামান্য চকোলেট, বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পর কুকুরছানার ডায়েরিয়া এবং বমি হতে পারে। বেশি মাত্রায় চকোলেট খাওয়ালে খিঁচুনি, হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা কমে যাওয়া এমনকি, মৃত্যুও হতে পারে।
দুধ: দুগ্ধজাত কোনও খাবার যেমন ছানা, পায়েস, মিষ্টি কুকুরছানাকে ভুলেও দেবেন না। কিছু শর্করা ও ফ্যাটি অ্যাসিডকে হজম করার মতো উৎসেচক থাকে না কুকুরদের শরীরে। আর তাতেই হয় সমস্যা।
অ্যাভোকাডো প্রিয় পোষ্যটিকে না দেওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যাভোকাডো: এই ফলে পারসিন নামে একটি যৌগ থাকে যা বেশি মাত্রায় কুকুরের পেটে গেলে তার অস্বস্তি হতে পারে। এই ফল প্রিয় পোষ্যটিকে না দেওয়াই ভাল।
আঙুর, কিশমিশ: ভুলেও এই দুই ফল পোষ্যকে দেবেন না। এই ফলগুলি খেলে কুকুরছানার কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
পেঁয়াজ-রসুন: কুকুরের খাবারে পেঁয়াজ-রসুন বেশি থাকলে তাদের অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই দুই সব্জিতে থাকা বিশেষ যৌগ কুকুরের শরীরের লোহিত রক্তকণিকাগুলিকে ধ্বংস করে।