জিমে যাওয়ার আগে কী খেলে শরীরের ক্ষতি হবে না? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিন সকালে উঠে জিমে যান। বেশ কিছু ক্ষণ দৌড়ঝাঁপ করার পরই খিদে পেয়ে যায়। তাই এক দিন পেট ভরে সকালের জলখাবার খেয়েই সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আরও বিপদ বাড়ল। গা গুলিয়ে, বমি করে, সারা দিন ধরে শরীরে চলল অস্বস্তি! শরীরচর্চার আগে কিংবা পরে কী খাবার খাওয়া উচিত, তা অনেকেরই জানা নেই। অনেকে আবার খালি পেটেই শরীরচর্চা শুরু করে দেন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। খালি পেটে শরীরচর্চা করলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আবার বেশি ভারী খাবার খেয়ে নিলেও অস্বস্তি হবে। খেতে হবে নিয়ম মেনে। কী খাবেন আর কী খাবেন না, রইল তালিকায়।
জিমে যাওয়ার আগে কী কী খেলে চলবে না?
১) চিনি যুক্ত কোনও খাবার ভুলেও খেলে চলবে না।
২) ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবারই কিন্তু শরীরচর্চা করার আগে খাওয়া যায় না। এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি। যা তৎক্ষণাৎ শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। কিন্তু আদতে লাভ কিছু হয় না।
৩) জিমে যাওয়ার আগে প্রোটিন শেকে চুমুক দেবেন না, জিমের পর প্রয়োজনে প্রোটিন খান।
৪) দুধ কিংবা দুধ দিয়ে তৈরি কোনও জিনিস ভারী শরীরচর্চার আগে না খাওয়াই ভাল।
৫) জিমে যাওয়ার আগে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল।
শরীরচর্চা করার আগে একমুঠো ড্রাই ফ্রুট্স কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা করার আগে কী ধরনের খাবার খেলে গা গুলোবে না?
১) কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। তাই শরীরচর্চা শুরু করার আগে এই খাবার খাওয়া যায় চোখ বন্ধ করে।
২) শরীরচর্চা করার আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে বলেন প্রশিক্ষকেরা। সে ক্ষেত্রে ওটমিল কিন্তু প্রোটিন জাতীয় খাবারের ভাল বিকল্প হতে পারে।
৩) শরীরচর্চা করার আগে একমুঠো ড্রাই ফ্রুট্স কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ, শুকনো ফল শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে।
৪) বিভিন্ন ভিটামিন, সহজপাচ্য ফাইবার এবং ল্যাক্টিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ ইয়োগার্টও খেতে পারেন শরীরচর্চা করার আগে। পেটফাঁপা, গা গুলোনো বা বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই খাবার।
৫) দু’টুকরো পাউরুটিতে পিনাট বাটার মাখিয়েও খেতে পারেন। সঙ্গে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে রাখতে পারেন ডিমও।