মোরগকাণ্ড। ছবি- সংগৃহীত
প্রতিবেশীর মোরগের ডাকে বিরক্ত হয়ে পুলিশের দারস্থ হলেন মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা এক চিকিৎসক। অভিযোগ, প্রতি দিন ভোরবেলা পাশের বাড়ির পোষা ওই মোরগটির কর্কশ ডাকে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। পেশার কারণেই অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁকে। তাই ভোরবেলা ঘুম ভেঙে গেলে, সারা দিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যার প্রভাব গিয়ে পড়তে পারে রোগীর চিকিৎসার উপর।
গ্রাম কিংবা মফস্বলে যাঁরা থাকেন, মোরগের ডাকের সঙ্গে তারা সকলেই পরিচিত। সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই মোরগের ডাক কিন্তু জানান দেয়, ভোর হয়েছে। অনেকের কাছে তা ঘড়ির অ্যালার্মের মতোই। কিন্তু সেই ডাকে বিরক্ত হয়ে কেউ পুলিশে অভিযোগ করতে পারেন, সে কথা কেউ কস্মিনকালেও ভাবতে পারে?
সময়ে অসময়ে বাড়ির আশপাশে উচ্চস্বরে গান বাজলে, তা অনেকের জন্যই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বারণ করা সত্ত্বেও আওয়াজ বন্ধ না হলে পুলিশে অভিযোগ করাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ওই চিকিৎসক বলেন, “ রোগী দেখে প্রতি দিনই বাড়ি ফিরতে অনেকটা রাত হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবে রাতে শুতেও দেরি হয়। দেরি করে ঘুমিয়ে আবার ভোরবেলা তাড়াতাড়ি উঠতে কষ্টই হয়। কিন্তু প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িতে পোষা মোরগের ডাকে ঘুমোনোর উপায় নেই। দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই তারা উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে। বহু বার ওই মহিলাকে ডেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রতি দিন এই ভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় আমার কাজের তো বটেই, আমার শরীরেরও ক্ষতি হচ্ছে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু তার পরেও যদি সমস্যা না মেটে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ১৩৩ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হবে।