দিল্লি বিমানবন্দরে উদ্ধার হওয়া কুমিরের মাথা। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল কুমিরের মাথা। তা নিয়েই আসছিলেন ভারতে। তবে বিমানবন্দরের গণ্ডি পার করার আগেই ধরা পড়ে গেলেন কানাডার নাগরিক। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। উদ্ধার করা হয়েছে কুমিরের মাথা। যার ওজন প্রায় ৮০০ গ্রাম।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, কানাডার টরোন্টো থেকে ওই ব্যক্তি দিল্লিতে আসছিলেন। এয়ার কানাডার একটি বিমানে দিল্লিতে পৌঁছন ওই ব্যক্তি। ব্যাগের মধ্যে কাপড়ের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিলেন কুমির মাথাটি। কিন্তু ধরা পড়ে যান। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দিল্লির বন দফতর জানিয়েছে, সেটি একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের মাথা। তবে কোন জাতের কুমির, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। কুমিরের মাথাটি দেহরাদূনে ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় পাঠানো হয়েছে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুল্ক আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণীর দেহাংশ কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। সেই লোভে বন্যপ্রাণী বা প্রাণীর দেহাংশ পাচার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই বিমানবন্দরে ধরা পড়ে পাচারকারীরা। কখনও সাপ, কখনও বানর, কখনও কচ্ছপ তো কখনও আবার কোনও বিরল প্রজাতি প্রাণী পাচারের চেষ্টা বানচাল হয়েছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের তৎপরতায়। এ বার কানাডার এই নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার হল কুমিরে মাথা। অতীতে সাপ, কচ্ছপ পাওয়া গেলেও এমন ঘটনা দেখা যায়নি।
অভিযুক্ত কানাডার নাগরিক কোথা থেকে এই কুমিরে মাথা নিয়ে আসছিলেন, কোথায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন শুল্ক দফতর এবং দিল্লির বন বিভাগের আধিকারিকেরা।