Midnapur Medical College

সন্তান প্রসবের পরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন পাঁচ প্রসূতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে উত্তেজনা, পুলিশ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক জন চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেছেন। তাঁদের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পাঁচ জনের মধ্যে এক জনকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৮
Share:

মেদিনীপুর হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ রোগীর পরিবারের। — নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পাঁচ প্রসূতি। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে আইসিইউতে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক জন চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেছেন। তাঁদের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পাঁচ জনের মধ্যে এক জনকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে লিখিত ভাবে হাসপাতালে সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অসুস্থ পাঁচ মহিলার স্বামী শেখ মিজানুর, সেলিম খান, দেবাশিস রুইদাস, আবু কালাম, শান্তি বেরা। তাঁদের সকলের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে তাঁদের স্ত্রীদের ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। ওই পাঁচ জনেরই বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার বিকেলে সিজার হওয়ার পরে কিছু ক্ষণ তাঁরা ভাল ছিলেন। হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই প্রসূতিরা। পরিবারের অভিযোগ, ভুল স্যালাইন প্রয়োগ করা হয়েছে ওই পাঁচ প্রসূতির শরীরে। যার ফলে ১২ ঘন্টা ধরে তাঁদের প্রসাব বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি জানানোর পরেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় ওই পাঁচ জনকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউ ওয়ার্ডে। কেশপুরের মহিষদার বাসিন্দা শেখ মিজানুর বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীকে ভর্তি করা হয় মাতৃমা বিভাগে। বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ আমাদের সন্তান হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক ঠিক থাকার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। তা ছাড়া আরও কয়েক জন প্রসূতির একই অবস্থা। চাই সকলেই সুস্থ হয়ে উঠুন।’’ হাসপাতালে সুপার জয়ন্ত রাউত জানান, একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement