প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে বসে কাজ। ঘরেই বিনোদনের ব্যবস্থা। আগের মতো সারা দিন কাজ সেরে কোনও মতে শুধু কয়েক ঘণ্টা ঘুমোতে যাওয়ার জায়গা নয় কারও বাড়ি। অতিমারির এই সময়ে নিজের বাড়ির প্রতিটি কোণের গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই নিজের যত্ন নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এখন গৃহসজ্জাও। ঘর যত্নে থাকলে, ভাল থাকবেন সেখানকার বাসিন্দারাও।
ঘরের যত্ন নিতে কী করা যেতে পারে?
১) গুছিয়ে রাখুন প্রতিটি কোণ। জিনিসপত্র স্তূপ করে নানা দিকে রেখে দিলে ঘরে অস্বস্তিকর একটি পরিবেশ তৈরি হয়। তার প্রভাব পরে নিজের মন উপরও। তা ছাড়া, অগোছাল ভাবে জমিয়ে রাখা কাপড় ও কাগজপত্রের উপর ধুলো জমে। তা ঘরের বাতাসে মিশে যায়। এর থেকে শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
২) শুধু রোজের কাজের জায়গা নয়, নিজের মতো করে সময় কাটানোরও জায়গা বার করুন। কোনও একটি কোণ সাজিয়ে ফেলুন শুধু ধ্যানের জন্য। অনেকটা জায়গার প্রয়োজন নেই। ভাবনাই আসল।
৩) আলোর ব্যবহারও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে আলো কম থাকলে মনও ভার থাকে। সারা দিন যদি বাড়িতে কাটাতে হয়, তবে নানা ধরনের আলো রাখা জরুরি। বিভিন্ন টেবিল ও কোণে মানানসই ল্যাম্পশেড ব্যবহার করুন। পড়ার জায়গায় বিশেষ ধরনের আলো রাখুন। তাতে শুধু মনের নয়, চোখেরও যত্ন হবে।
৪) নিজের ভিতরের সৃজনশীলতা যেন প্রকাশ পায় আপনার ঘরের সাজে। বাড়ির মধ্যেই পছন্দের শিল্প আর বই দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ছোটখাটো গন্থাগার আর মিউজিয়াম। আপনার সংগ্রহের সে সব দ্রব্য চোখের সামনে থাকলে মন ভাল থাকবে, সঙ্গে বাড়বে আত্মবিশ্বাসও।
বাড়ি এমন ভাবে সাজানো জরুরি, যাতে আপনার মনে ভাবচিন্তা প্রকাশ পায় প্রতিটি কোণে। তবে সেখানে সময় কাটাতে নিজের ভাল লাগবে। আবার অন্য কেউ সে বাড়িতে এলে আপনাকেও বুঝতেও অসুবিধা হবে না অতিথির।