Suhotra Mukhopadhyay

পয়লা বৈশাখের দিনটি ‘একেনবাবু’র জন্যই ফাঁকা রাখছি: সুহোত্র মুখোপাধ্যায়

নববর্ষের দিন মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। তার আগে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে একান্ত আড্ডায় পর্দার ‘বাপিবাবু’ ভাগ করে নিলেন পয়লা বৈশাখের পরিকল্পনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৭
Share:

এ বছর পয়লা বৈশাখের দিন একটু অন্য রকম কাটতে চলেছে টলিপাড়ার নতুন মুখ সুহোত্র মুখোপাধ্যায়ের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

সামনেই পয়লা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলা তারিখ মনে না থাকলেও নববর্ষ নিয়ে একটা উন্মাদনা বাঙালির থাকেই। বৈশাখী আড্ডা, হুইহুল্লোড় নতুন জামার গন্ধ আর বাঙালি খাবার— নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ এগুলিই।

Advertisement

পয়লা বৈশাখ নিয়ে কম উত্তেজিত নন টলিপাড়ার তরুণ অভিনেতারা। তবে এ বছর পয়লা বৈশাখের দিন একটু অন্য রকম কাটতে চলেছে টলিপাড়ার নতুন মুখ সুহোত্র মুখোপাধ্যায়ের। একাধিক গোয়েন্দার সহকারীর চরিত্রে দর্শক ইতিমধ্যেই দেখেছেন সুহোত্রকে। সম্প্রতি ‘ডাকঘর’ ওয়েব সিরিজ়েও দর্শকের ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। এই পয়লা বৈশাখ নিয়ে তিনি বিশেষ উত্তেজিত কেন? সুহোত্র বলেন, ‘‘নববর্ষে আমার নতুন ছবি ‘রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান’ মুক্তি পাচ্ছে। ফলে সে সব নিয়েই ব্যস্ত থাকব। আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই। সন্ধ্যায় ছবির প্রিমিয়ার আছে। সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি সকাল থেকেই থাকবে। গত দু’সপ্তাহ ধরে টানা ছবির প্রচার করছি। তাই পয়লা বৈশাখের দিনটা ‘একেনবাবুর’ জন্যই ফাঁকা রাখছি। হলে বসে পুরো ছবিটা দেখব।’’

একাধিক গোয়েন্দার সহকারীর চরিত্রে দর্শক ইতিমধ্যেই দেখেছেন সুহোত্রকে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

নববর্ষে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যস্ত থাকবেন তিনি। কিন্তু এমনিতে নববর্ষের দিনটি কী ভাবে কাটে সুহোত্রর? অভিনেতার কথায়, ‘‘আলাদা করে পয়লা বৈশাখের জন্য কোনও বছরই বিশেষ পরিকল্পনা থাকে না। ছুটির দিন হিসাবেই কেটে যায়। কিন্তু ছোটবেলায় বাড়িতে নববর্ষ উদ্‌যাপন হত। অনুষ্ঠান, হইহুল্লোড়, আড্ডা, গানবাজনা হত। তার পর বড় হয়েছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুতেই বদল এসেছে।’’

Advertisement

পয়লা বৈশাখ মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। প্রিমিয়ার শেষে বিশেষ ভূরিভোজের কোনও পরিকল্পনা আছে তাঁর? সুহোত্র বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখেই খেতে হবে, এমন কোনও খাবার নেই। তবে কাদের সঙ্গে বসে খাচ্ছি, সেটা আমার কাছে জরুরি। যদি সঙ্গ ভাল হয়, তা হলে সব খাবারই ভাল লাগে। তবে বাঙালি খাবার খাব, সত্যিই তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। লুচি, তরকারি, পরোটা সবই খেতে ভাল লাগে। যখন যেটা ইচ্ছা করে, খেয়ে নিই। এ বছর তো হবে না। তবে অন্য কোনও দিন যদি কখনও নববর্ষে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে কোথাও খেতে যাই, তা হলে হয়তো বাঙালি থালি অর্ডার করতে পারি।’’

ইলিশ না চিংড়ি— কোনটি বেশি প্রিয় সুহোত্রর? তিনি বলেন, ‘‘ইলিশ খেতে আমি সবচেয়ে ভালবাসি। আমি আসলে ‘বাটি’। ইলিশের যে কোনও পদই আমার খুব ভাল লাগে।’’

একে নববর্ষ, তার উপর নতুন ছবির প্রিমিয়ার। পোশাক নিয়ে কোনও বিশেষ পরিকল্পনা আছে? সুহোত্রর কথায়, ‘‘বাঙালি সাজেই যাব। তবে এখনও ভাবিনি কী পরব। পাঞ্জাবি, পায়জামা, ধুতি— যে কোনও একটা কিছু পরতে পারি। এটা নির্ভর করছে সেই মুহূর্তের মেজাজের উপর। আমি এমনিতে পাঞ্জাবি এবং পায়জামা পরতেই বেশি পছন্দ করি। বেশি স্বচ্ছন্দ আমি তাতে। তবে ধুতি পরতেও খারাপ লাগে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement