Lahoma Bhattacharya

আমি খাঁটি বাঙাল, কিন্তু পয়লা বৈশাখে ডাবচিংড়ি না খেলে মন ভরে না: লহমা ভট্টাচার্য

সারা বছর কড়া ডায়েটে থাকলেও, বছর শুরুর দিনে সে সব থেকে শতহস্ত দূরেই থাকেন অনেকে। অভিনেত্রী লহমা ভট্টাচার্য সেই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে। নববর্ষে কী পরিকল্পনা নায়িকার?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২২
Share:

জিতের বিপরীতে ‘রাবণে’ অভিনয় করে দর্শকের মন কেড়েছেন লহমা ভট্টাচার্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বাংলা তারিখ সব সময়ে মনে না থাকলেও বাংলা বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি চলে অনেক দিন ধরে। পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামার গন্ধ, রকমারি মিষ্টি, বাড়ির সকলের সঙ্গে আড্ডা, আর জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। বাঙালির উৎসব মানেই তার উদ্‌যাপন হবে রসেবশে। আর নববর্ষ পালনের অন্যতম অনুষঙ্গই যেন ভূরিভোজ। পাটভাঙা নতুন শাড়ি, পাঞ্জাবি আর দুপুরে রকমারি পদে ঘরোয়া খানায় ভূরিভোজ— এমনই হয় অনেকের পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন।

Advertisement

নববর্ষ উদ্‌যাপন নিয়ে কম উত্তেজিত নন টলিপাড়ার তরুণ অভিনেতারাও। সারা বছর ডায়েট, জিম আর ফিটনেস প্রশিক্ষকের কড়া অনুশাসনে থাকলেও পয়লা বৈশাখের দিন ডায়েটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চিংড়ি, ইলিশ, মটনের স্বাদ নেন তাঁরাও। টলিউডের চেনা মুখ লহমা ভট্টাচার্য। জিতের বিপরীতে ‘রাবণে’ অভিনয় করে ইতিমধ্যেই দর্শকের মন কেড়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ছবির কাজ নিয়ে আপাতত ব্যস্ত আছেন। কিন্তু নববর্ষের দিন কোনও কাজ রাখছেন না লহমা। পয়লা বৈশাখে কী পরিকল্পনা নায়িকার? কী কী থাকবে লহমার পাতে? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে জানালেন অভিনেত্রী। লহমার কথায়, ‘‘আমার কাছে পয়লা বৈশাখ বিশেষ একটি দিন। দুর্গাপুজোর হইহুল্লো়ড় নতুন করে ফিরে আসে এই দিনটিতে। ছোটবেলায় দেখতাম এই দিনটিকে বাড়িঘর পরিষ্কারের একটি পর্ব চলে। তখন বুঝতাম না। তবে এখন ভালই লাগে। বছরে প্রথম দিনটি যদি নতুন করে শুরু করা যায়, মন্দ কী? এ বছর আমার দিদা আর মামা বাড়িতে এসেছেন। ফলে পয়লা বৈশাখটা তাঁদের সঙ্গেই কাটাব। অনেক দিন পরে পরিবারের সকলে মিলে একসঙ্গে আনন্দ করব। ওই দিন কোনও শুটিংও নেই। ফলে বাড়িতে থাকব।’’

শুধুমাত্র পেশাগত কারণে নয়, লহমা এমনিতেই ফিটনেস সচেতন। যোগাসনের প্রতি তাঁর প্রেম নিয়ে এর আগেও কথা বলেছেন। কিন্তু পয়লা বৈশাখেও কি কড়া ডায়েটে বেঁধে রাখবেন নিজেকে? অভিনেত্রী বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখের দিন কোনও ডায়েট হবে না। বাবা, মা এবং আমি— আমরা তিন জনেই খেতে প্রচণ্ড ভালবাসি। সব বাঙালির মতোই খাওয়াটা আমাদের কাছে একটা আবেগ। আমি ডায়েট করলেই বরং বাড়িতে বকুনি খাই। পয়লা বৈশাখের সকাল শুরু হয় লুচি দিয়ে। তার পর দুপুরে বাসন্তী পোলাও, কষা মাংস, ঝুরঝরে আলু ভাজা। সেই সঙ্গে মায়ের হাতের বিশেষ কোনও পদ তো রয়েছেই। তা ছাড়া, এ বছর দিদা আছে। ফলে দুপুরের খাবারে কিছু একটা চমক অপেক্ষা করছে।’’

Advertisement

পয়লা বৈশাখে কেমন সাজবেন লহমা? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

মাংস তো রইলই। কিন্তু বাঙালির উৎসবে ইলিশ, চিংড়ি থাকবে না, তা কী করে হয়? নববর্ষের দিন লহমার পাতে কোনটি থাকছে? লহমা বলেন, ‘‘আমি খাঁটি বাঙাল। তবে ডাবচিংড়ি খেতে আমি খুব ভালবাসি। এ বছরও মনে হচ্ছে পয়লা বৈশাখে চিংড়িই থাকবে।’’

নববর্ষ মানেই পাটভাঙা নতুন শাড়ি। পয়লা বৈশাখে কেমন সাজবেন তিনি? অভিনেত্রীর উত্তর, ‘‘বাড়িতে থাকব। ফলে শাড়িই পরব ভেবেছি। কিন্তু এখনও পয়লা বৈশাখের কেনাকাটা করা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যেই এক দিন যাব ভেবেছি সময় করে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement