Ranojoy Bishnu

লুচি, সাদা আলুর তরকারি আর দুধ চা, আমার নববর্ষের সকাল শুরু হয় এ ভাবেই: রণজয় বিষ্ণু

সারা বছর কড়া ডায়েটে থাকলেও, নববর্ষের দিন সে সব থেকে শতহস্ত দূরেই থাকেন অনেকে। অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু সেই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকেন। এই নববর্ষে কী পরিকল্পনা তাঁর?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২১
Share:

রণজয় মনেপ্রাণে একেবারেই ও পার বাংলার মানুষ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বাংলা তারিখের কথা মনে না থাকলেও পয়লা বৈশাখ নিয়ে বাঙালির আবেগ কম নয়। বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন পোশাক, উৎসবের মিষ্টি, রকমারি ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার, আড্ডা— চারদিকে একেবারে সাজসাজ রব। বাঙালি এমনিতেই উৎসবপ্রিয়। যে কোনও উদ্‌যাপনেই তাই উজাড় করে দেয় নিজেকে। আর বাঙালির উৎসব তো ভূরিভোজ ছাড়া সম্পূর্ণই হয় না। বাঙাল বাড়ির ইলিশ কিংবা ঘটি বাড়ির চিংড়ি— বাংলা বছরের প্রথম দিনে একই থালায় সব কিছুই পাশাপাশি থাকে। নববর্ষের এমন রসেবশে উদ্‌যাপন থেকে বাদ যান না টলিপাড়ার তারকারাও।

Advertisement

সারা বছর কড়া ডায়েটে থাকলেও, নববর্ষের দিন সে সব থেকে শতহস্ত দূরেই থাকেন অনেকে। টেলিভিশনের চেনা মুখ অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু সেই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকেন। এমনিতে তিনি প্রচণ্ড খাদ্যরসিক। পেশাগত কারণে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়। তবে নববর্ষে কোনও নিয়মের ধার ধারেন না তিনি। নববর্ষের দিনটি কী ভাবে উদ্‌যাপন করেন তিনি? কী কী থাকে অভিনেতার পাতে? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।

রণজয় যথেষ্ট ফিটনেস সচেতন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

রণজয়ের কথায়, ‘‘নববর্ষ নিয়ে আমার কোনও বছরই বিশেষ কিছু পরিকল্পনা থাকে না। এ বছরও নেই। জীবনে মাঝেমাঝে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে। আমি আসলে সেই চমকের মজাটা নিতে চাই। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।’’

Advertisement

রণজয় যথেষ্ট ফিটনেস সচেতন। চেষ্টা করেন খাওয়াদাওয়ায় একটি নিয়ম মেনে চলার। নববর্ষের দিনও কি ডায়েট চলবে? ‘‘একেবারেই না। আমার খাবার নিয়ে নববর্ষে একটা পরিকল্পনা থাকে। নববর্ষের সকালে উঠে আমি লুচি আর সাদা আলুর তরকারি খাই। এটা প্রায় নিয়মের মতো হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে না হলেও লেকের পাশে ‘মহারানির’ কচুরি আমি খাবই। সঙ্গে দুধ চা। তার পর দুপুরে মটন, মোচা, এঁচোড় চিংড়ি, লাউ চিংড়ি, কাঁচা আমের চাটনি, আর শেষপাতে রসগোল্লা— আমার নববর্ষের উদ্‌যাপন এ ভাবেই হয়।’’

রণজয় মনেপ্রাণে একেবারেই ও পার বাংলার মানুষ। তা হলে নববর্ষে ইলিশ বাদ কেন? অভিনেতা বলেন, ‘‘এ বছর যে হেতু এখনও তেমন বৃষ্টি হয়নি, ফলে ভাল মানের ইলিশ পাওয়া দুষ্কর। এই নববর্ষে মটনই ভরসা।’’

নববর্ষ মানেই ধুতি আর পাঞ্জাবি। বাংলা বছরের প্রথম দিনে কেমন সাজবেন অভিনেতা? রণজয় বলেন, ‘‘আমি এমনিতে বাঙালি পোশাক পরতে ভালবাসি। পরিও। শুটিং ফ্লোরে আমাকে বড় ঢিলেঢালা পায়জামা পরে যেতে অনেকেই অবাক হন। এটা বোঝাতে পারি না যে, বাঙালি চিরকালই বড় পায়জামা পরেছে। আমি ধুতি পরতেও ভালবাসি। তবে এ বছর পায়জামা এবং পাঞ্জাবি পরব ভেবেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement