জুতোর ধরনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্য।
সুন্দরী সাজ সম্পর্কে সচেতন কি না, তা বলে দেয় জুতো। মুখ-চোখের রূপটানে অনেক সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ রকম অনেকেই আছেন, যাঁরা পায়ের দিকে তেমনও নজর দেন না। তাই পা দেখেই বোঝা যায়, সাজ সম্পর্কে কতটা যত্নশীল সেই ব্যক্তি।
তবে জুতো শুধু সুন্দর হলে চলবে না। বরং দেখতে হবে তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না। কারণ জুতোর ধরনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্য।
অনেকেই হিলতলা জুতো পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু সব ধরনের হিল শরীরের জন্য ভাল নয়। এমন কিছু কিছু হিল হয়, যা শরীরের ভার ঠিক ভাবে বহন করতে পারে না। তা নিয়মিত পরলে সাজ সুন্দর হলেও শরীর ভাল থাকবে না। ফলে খেয়াল রাখতে হবে কোন ধরনের জুতো পরছেন।
তিন ধরনের হিল সাহায্য করতে পারে সাজ ও স্বাস্থ্য, দুই-ই একসঙ্গে যত্নে রাখতে।
লম্বা পেন্সিল হিল পরলে অনেক সময়ে তলপেট, কোমরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
১) ব্লক হিল: এই ধরনের হিল শরীরের ভার খানিকটা ছড়িয়ে দিতে পারে। এক জায়গায় এসে মেশে না সবটা। ফলে পায়ের সামনের অংশে বেশি চাপ পড়ে না। দাঁড়াতে এবং হাঁটতে সুবিধা হয় এমন হিল পরলে। পা ও কোমরে ব্যথাও হয় না এই ধরনের হিল পরলে।
২) কিটেন হিল: হিল পরলেই পা ব্যথা হয়। কিন্তু কায়দার জুতো পরতে ইচ্ছা করে। এমন তো কত জনেরই হয়। এ ক্ষেত্রে একটি কাজ করতে পারেন। কিটেন হিল পরে দেখুন। তিন ইঞ্চির কম হিল। তাতে আর যা-ই হোক, পায়ের উপর বেশি চাপ পড়বে না।
৩) ওয়েজ হিল: ওজন বেশি হলে এই হিলের বিকল্প হয় না। উচ্চতা বাড়াবে, কিন্তু একেবারে সমান ভাবে ভার ছড়িয়ে দিয়ে। এতে গোড়ালি বা পায়ের আঙুলে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা কমে।
লম্বা পেন্সিল হিল পরলে অনেক সময়ে তলপেট, কোমরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই ধরনের হিল পরলে তা এড়ানো যায়। এই তিন ধরনের হিল নতুন মায়েদের জন্যও ভাল। সাজ হবে সুন্দর, কিন্তু তলপেটে চাপ পড়বে না।