প্রতি পাঁচ জনের এক জন ভারতীয় নারী এই অসুখে আক্রান্ত। ছবি: সংগৃহীত
সারা আলি খান, সোনম কপূর, ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম, এমা থম্পসন-সহ বহু তারকাই পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ বা পিসিওডির শিকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জনের এক জন ভারতীয় নারী এই অসুখে আক্রান্ত।
সাধারণত একটি বয়স অতিক্রম করার পর সব মেয়েরই ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসেই ডিম্বাণু নির্গত হয়। নিষেক না ঘটলে সেই ডিম্বাণু দেহ থেকে বেরিয়ে যায় রক্তের মাধ্যমে।
ছোট ছোট টিউমারের আকারে দেখতে এই সিস্টগুলি তরল বা অর্ধতরল উপাদান দিয়ে তৈরি। চিকিৎসকের মতে, দু’টি ঋতুচক্রের মাঝে একটি ডিম্বাণু সম্পূর্ণ হতে পারে না ও ডিম্বাশয় ছাড়িয়ে জরায়ুর দিকে এগোতেও পারে না। এ দিকে শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার জন্য এসে পড়লেও তার উপযুক্ত ডিম্বাণুকে সিস্টের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে একটা সময়ের পর তা বিনষ্ট হয়ে যায়। এই অসুখে সাধারণত স্বাভাবিক সময়ে অভ্যন্তরীণ ভাবে কোনও ব্যথা হয় না বা বাহ্যিক কোনও চিহ্ন থাকে না।
অনিয়মিত ও তেল-মশলাদার বাইরের খাবার বেশি মাত্রায় খাওয়া এই অসুখের অন্যতম কারণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলেও এই অসুখ দেখা দিতে পারে। পিসিওডি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। তা ছাড়া ঘরোয়া উপায়েও এই রোগের মোকাবিলা করা যায়। চা খেয়েও কমাতে পারেন পিসিওডির সমস্যা।
গ্রিন টি
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। অনেকেই হয়তো জানেন না, পিসিওডি-র সমস্যা কমাতেও গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। এই সমস্যা থাকলে রোজ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
আদা চা
মাথাব্যথা হোক বা সর্দি-কাশি, আদা চা বেশ কার্যকরী। পিসিওডির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও আদা চা দারুণ কাজ করে। চাইলে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চামচ মধু। সুফল পাবেন।
দারচিনি চা
পিসিওডি থাকলে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে তেমন কোনও বিধিনিষেধ থাকে না। ডায়াবিটিস থাকলে আলাদা কথা। তবে বেশি মিষ্টি সব অসুস্থতাই এড়িয়ে চলা ভাল। চায়ে চিনির বদলে তাই মেশাতে পারেন দারচিনি। এই চা পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।