৩০ বছর পরেও তসরের শাড়ির চমক থাকবে নতুনের মতো! ভাবছেন কী ভাবে?
সিল্কের শাড়ির আবেদন চিরন্তন। শাড়িপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় যে শাড়িগুলি শীর্ষে থাকে তার মধ্যে তসর অন্যতম। তসরের শাড়ি এখন কেবল বয়স্করা পড়েন এমনটা নয়, বরং কম বয়সিদের মধ্যেও এই শাড়ির কদর বেড়েছে।
তসরের শাড়ি আপনি যে কোনও অনুষ্ঠানেই পরতে পারেন। জানতে হবে শুধু সঠিক কায়দা। ধূসর রঙের তসরের শাড়ির সঙ্গে একটা কনট্রাস্ট ব্লাউজ পরে নিলেই বিয়েবাড়ি থেকে দুর্গাপুজোর অষ্টমী— সব অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্যই আপনি একেবারে তৈরি। শীত হোক কিংবা গরম, ভাল মানের তসর শাড়ি যে কোনও মরসুমেই আপনি পরতে পারেন এই শাড়ি।
তবে তসর শাড়ি পরতে ভাল লাগলেও এই শাড়ি কিনতে চান না অনেকে। কারণ একটাই কেটে যাওয়ার ভয়। তসরের শাড়ি যত্নে না রাখলে কেটে যাওয়ার কিংবা ফেসে যাওয়ার ভয় থাকে।
তসরের শাড়ির যত্ন নেওয়ার সময় কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে?
১) তসর খুবই যত্ন সহকারে ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্যেই তুলে রাখা উচিত। এ ছাড়াও ইস্ত্রি করার সময় কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণ তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করলে আপনার শাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইস্ত্রিতে সিল্কের অপশন নির্বাচন করে তবেই ইস্ত্রি করা উচিত। নইলে তসর শাড়ির উপর একটি হালকা সুতির কাপড় বিছিয়ে নিন। তার উপর দিয়ে ইস্ত্রি চালান।
২) তসরের শাড়ি আলমারিতে রাখার সময় ন্যাপথলিনের বল রাখতে পারেন। তার চেয়েও ভাল, হয় যদি শুকনো নিমপাতা রাখতে পারেন। অনেক সময় জুতোর বাক্সে কিছু সিলিকা জেলের প্যাকেট দেওয়া হয়। সেগুলি ফেলে না দিয়ে আলমারিতে রাখুন। বদ্ধ জায়গার আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করবে।
প্রতীকী ছবি
৩) তিন মাস অন্তর তসরের শাড়ি খুলে রোদে দিন। তবে খেয়ার রাখবেন খুব চড়া রোদ যেন না হয়। দীর্ঘ দিন একই ভাবে শাড়ি আলমারিতে রাখলে ভাজ বরাবর শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
৪) তসর শাড়ি যত অল্প কাচা যায়, ততই ভাল। কয়েক বার পরলে তো ধোওয়ার প্রয়োজন নেই। ড্রাই ওয়াশ করিয়ে নিন। বাড়িতে এই শাড়ি না কাচাই শ্রেয়। শাড়িতে কোনও দাগ লাগলে শুধু ওই অংশটুকু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। সম্পূর্ণ শাড়ি কাচার প্রয়োজন নেই।
৫) আলমারিতে রাখার সময় প্রত্যেকটা সিল্কের শাড়ি আলাদা করে সুতি বা মলমলের কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন। যদি বাজার থেকে শাড়ি রাখার তৈরি ব্যাগ কেনেন, তা হলে প্লাস্টিকের না কিনে কাপড়ের কিনুন। সিল্ক কাপড়ে একটু হাওয়া খেলাতে হয়। নয়তো জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।