— প্রতীকী চিত্র।
পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। হাতে আর মাস দুয়েকের মতো সময় রয়েছে। এখন থেকে যদি ত্বকের যত্ন নিতে শুরু না করেন, তবে পুজোর আগে যত খরচ করেই ফেশিয়াল করুন না কেন, খুব একটা লাভ হবে না। ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ভিটামিন সি। আমলকির মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, তা আর কিছুতে নেই। এ ছাড়াও আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ। যা শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। কিন্তু নিয়মিত আমলকি খেলে ত্বকের উপর কেমন প্রভাব পড়ে, তা জানেন?
১) ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই ফল ফ্রি র্যাডিকাল থেকে ত্বকে যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস পড়ে, তা থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
২) কোলাজেন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়
ত্বক যাতে টানটান থাকে, কুঁচকে বা ঝুলে না যায়, তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোটিন হল কোলাজেন। স্বাভাবিক ভাবে ত্বকে এই কোলাজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে প্রয়োজন ভিটামিন সি। রোজ আমলকি খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
৩) কালচে দাগছোপ কমে
আমলকিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকে অবাঞ্ছিত দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে। তবে আমলকি খেতে শুরু করলেই এক দিনে ম্যাজিকের মতো দাগ উধাও হয়ে যাবে না। ধীরে ধীরে মুখের পিগমেন্টেশন মেলাতে শুরু করবে।
৪) আর্দ্রতা বজায় থাকে
আমলকিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ, যা ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কোনও ভাবেই ত্বকে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।
৫) ক্ষত সারায়
ত্বকে কোনও রকম ক্ষত হলে, টিস্যু ছিঁড়ে গেলে, তা দ্রুত নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি। নিয়মিত আমলকি খেলে ত্বকে এই ধরনের ক্ষত তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলা যায়।
৬) জেল্লা বাড়িয়ে তোলে
আমলকির মধ্যে নানা উপাদান যেমন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, বিভিন্ন রকম ভিটামিন, খনিজ রয়েছে। যা ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। সামগ্রিক ভাবে ত্বককে ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৭) প্রদাহ, সংক্রমণ কমে
রোদে বেরোলেই ত্বক লাল হয়ে যায়। কারও আবার চামড়ার উপর ভেসে উঠতে দেখা যায় শিরা-উপশিরা। স্পর্শকাতর ত্বকে র্যাশ, ব্রণ থেকে সংক্রমণের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে আমলকি।