— প্রতীকী চিত্র।
কাজের চাপ হোক বা আবহাওয়ার হেরফের— হঠাৎ মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ধরে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কারও কারও ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা দীর্ঘ ক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। যন্ত্রণা উপশমে অ্যারোমাথেরাপি, বাম ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে কষ্ট এমন তীব্র হয় যে, যন্ত্রণা কমানোর ওষুধ খাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কিছু ক্ষণ পর ধীরে ধীরে যন্ত্রণা কমতে থাকে, ফলে মাথা যন্ত্রণার কারণ তলিয়ে দেখা হয় না।
তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, যাঁরা বছরের বেশির ভাগ সময়ে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তথ্যটি পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স (পিএলওএস) মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মাথার এক পাশ থেকে সঞ্চারিত হয়ে যন্ত্রণা মুখের এক পাশ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিশেষ ধরনের যন্ত্রণার সঙ্গে ইস্কেমিক স্ট্রোকের যোগ রয়েছে।
জার্মানির ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেল্থ এবং হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ-এর গবেষকেরা একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ২১ থেকে ৪২ বছর বয়সি ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের শরীরে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব লক্ষণগুলি খুব স্পষ্ট। অবশ্য মাইগ্রেনের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যেমন— উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ধূমপান, শরীরচর্চা না করা, অতিরিক্ত ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়ার মতো কারণগুলিও রয়েছে। ওই একই সমীক্ষায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, মাইগ্রেনে আক্রান্ত মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক বা হেমারেজিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় খানিকটা বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁদের একটু বেশিই সচেতন থাকতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।