— প্রতীকী চিত্র।
একটানা কাজ করার পর চেনা পরিসর ছেড়ে একটু ছুটির মেজাজে সপ্তাহান্তটি কাটাতে চান। ‘উইকেন্ড গেটওয়ে’ এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, মাস দুয়েক আগে থেকেই সমস্ত জায়গা বুক করা থাকে। চাইলেই হুট করে নিজের গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন। কিন্তু হোটেল বা হোমস্টের মালিকের সঙ্গে খুব সখ্য না থাকলে থাকার জায়গা পাওয়া মুশকিল। এত ঝক্কি পোহাতে না চান না অনেকেই। তাই নিজের আরও একটি বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু প্রথম বার বাড়ি কেনার সময় যে যে বিষয়গুলি বেশি ভাবিয়েছিল, সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই দ্বিতীয় বার এগোবেন, নাকি অন্য কোনও বিষয়েও ভেবে দেখতে হবে?
১) গৃহঋণ
প্রথম বার ফ্ল্যাট কেনার সময়ে অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই খুব বেশি সঞ্চয় করতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয় বাড়িটি কেনার সময়ে যদি কিছুমাত্র সঞ্চয় করেও থাকেন, তা খরচ করার প্রয়োজন নেই বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞরা। তবে শুরুতে একটা বড় অঙ্ক ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দিতেই হয়। ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের হিসেব এক-এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আলাদা রকম হয়ে থাকে। সেই সব কিছু হিসেব করেই এগোনো ভাল।
২) শহর থেকে একটু দূরে
বাড়ি এমন জায়গায় হওয়া উচিত, যেখান থেকে যাতায়াতের সুবিধা হবে। হাতের কাছে বাজার, দোকান, হাসপাতালের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধাই যেন থাকে। তবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা জায়গাগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জনবহুল হয়। ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে তা আদর্শ না-ও হতে পারে। তাই দ্বিতীয় বাড়িটি একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে নয়, শহরতলি বা শহরের উপকণ্ঠে কেনাই ভাল।
৩) একেবারে তৈরি বাড়ি কিনুন
প্রথমটির ক্ষেত্রে যতখানি ধৈর্য রাখতে পেরেছিলেন, দ্বিতীয়টির বেলা তা না-ও থাকতে পারে। তা ছাড়া বাড়ি তৈরির সময়ে বার বার গিয়ে দেখে আসার ঝামেলাও থাকে। এ দিকে তৈরি বাড়ির দাম তুলনায় বেশি। তাই যদি টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা না থাকে, সে ক্ষেত্রে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বাড়ি না কেনাই ভাল।