—প্রতীকী চিত্র।
সদস্য সংগ্রহ অভিযানে এ বার একেবারে নিচু তলা পর্যন্ত সংগঠনে জোর দিতে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছে বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণ সংগঠনিক জেলায় ইতিমধ্যে যে সমস্ত এলাকা পিছিয়ে ছিল, তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে সামগ্রিক ভাবে ভাল জায়গা পেলেও নদিয়া দক্ষিণের অনেক জায়গায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কাজে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ছিল। পিছিয়ে পড়া জায়গাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা বিজেপির তরফে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। দলের অন্দরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া নেতা কর্মীদেরকে ফের সক্রিয় করে যেমন কাজে লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েক জায়গায় শিবির করেও সদস্য সংগ্রহের মতো কাজ হয়েছে। দল তৈরি করে পিছিয়ে পড়া এলাকায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করেছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যে সব জায়গা পিছিয়ে পড়েছিল তার মধ্যে ছিল রানাঘাট দক্ষিণ, শান্তিপুর, নবদ্বীপ বিধানসভা এলাকা। উদ্যোগী হওয়ার পর রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। শান্তিপুর এবং নবদ্বীপ বিধানসভার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।
জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাল ফল করার জন্য নদিয়া দক্ষিণ সংগঠনিক জেলার প্রত্যেকটি বিধানসভা এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় যাতে বেশি সংখ্যায় সদস্য সংগৃহীত হয় সে জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। নিচুতলা থেকে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হলে তা অনেকটাই কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই কাজ করানো হলে নিজেদের এলাকায় তাদের জনসংযোগও বৃদ্ধি পাবে। বহু জায়গাতেই বিজেপির সংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে এই ধরনের কর্মসূচি কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী তারা। নিচুতলাতে তারা মানুষের কাছে যাবেন আরও বেশি করে এবং এতে সর্বত্রই দলের সংগঠন সক্রিয় থাকবে।
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক আশীষবরণ উকিল বলেন, ‘‘নিচুতলাতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কাজে জোর দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে জনপ্রতিনিধিদের বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছি আমরা। এতে সংগঠন সচল থাকবে এবং জনসংযোগ বৃদ্ধি পাবে।’’