শীতের সময় দেখা যায় অনেকেরই চুল হয়ে উঠেছে রুক্ষ এবং অনুজ্জ্বল
বেশির ভাগ মানুষের কাছেই চুল সৌন্দর্যের এক অপরিহার্য অঙ্গ। অনেকে মনে করেন, ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ক্ষেত্রেও চুলের ভূমিকা যথেষ্ট। ফলে চুল যদি নিষ্প্রাণ হয়, তবে মানসিক ভাবেও তাঁরা হীনন্মন্যতায় ভোগেন। শীতের সময় দেখা যায় অনেকেরই চুল হয়ে উঠেছে রুক্ষ এবং অনুজ্জ্বল। যদিও এর পিছনে আপনার জিনের গঠনও বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। তবুও আপনার খাদ্য, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া, দূষণ এবং চুলের যত্ন সম্পর্কে সচেতন থাকলে চুলের রেশমি-মোলায়েম ভাব বজায় থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেশির ভাগ মানুষই মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন না তেমন। স্বাস্থ্যকর চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য সঠিক পরিমাণে 'হাইড্রেশন' বা আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন। শুষ্ক চুল যে শুধু নিস্তেজ এবং প্রাণহীন বলে মনে হয়, তা-ই নয়। এর ফলে চুল ভীষণ ভাবে পড়ে যেতেও পারে।
১। পুষ্টিকর উপাদান, যেমন অ্যামিনো অ্যাসিড, পরিশোধিত নারকেল তেল, হাইড্রোলাইজড প্রোটিন, জলপাই, সিরামাইড, ভিটামিন বি৩, বি৫ এবং বি৬, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইত্যাদি চুলের জন্য বিশেষ জরুরি। ফলে চুলের জন্য শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার কেনার সময় খেয়াল রাখুন, সেই সব জিনিসে যেন এই উপাদানগুলির বেশির ভাগ থাকে।
২। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারে সতর্ক হন। শ্যাম্পু করার সময় জোরে জোরে ঘষলে ময়লার সঙ্গে সঙ্গে চুলও উঠে যেতে পার। এবং কোনও মতেই কন্ডিশনার মাথার ত্বকে লাগাবেন না। প্রয়োগের ভুলভ্রান্তি এড়িয়ে চললে অনেক সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন উষ্ণ তেল মাথার ত্বকে মালিশ করা আপনার রূপ-রুটিনের অংশ করে ফেলুন
৩। এমন পণ্য এড়িয়ে চলুন, যাতে খুব শক্তিশালী সালফেট, অ্যালকোহল বা সুগন্ধি থাকে। এগুলি চুলের প্রবল ক্ষতি করতে পারে।
৪। পাশাপাশি সুষম খাদ্য গ্রহণ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। ওমেগা ৩, ৬ এবং ৯-এর মতো উপাদান, প্রোবায়োটিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফোলেট, আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
৫। ব্লো ড্রায়ার, ফ্ল্যাট আয়রন বা কার্লিং আয়রন ইত্যাদি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রা চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। বিশেষ করে, আয়রন এবং রোলারের ক্ষেত্রে সতর্ক হন যা সরাসরি শুষ্ক চুলের সংস্পর্শে আসে।
৬। একটি চওড়া দাঁড়াওয়ালা কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল অনেক সহজ হবে এবং চুলে জট পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
৭। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন উষ্ণ তেল মাথার ত্বকে মালিশ করা আপনার রূপ-রুটিনের অংশ করে ফেলুন। এতে চুলের আর্দ্রতা সারা বছর একই ভাবে বজায় থাকবে।