প্রতীকী ছবি
চুল নিয়ে এই দেশের মানুষ বিশেষ গর্ব বোধ করে এখনও। ভারতীয়দের চেহারার লাবণ্যে চুলের স্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আর এখন তো সারা পৃথিবীতেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করেন সকলে। কিন্তু বিগত দু’বছর ধরে অতিমারির আক্রমণ যেমন আমাদের চেহারায় প্রভাব ফেলেছে, তেমনই এর প্রভাবে চুলও হয়ে পড়ছে প্রাণহীন এবং চুলের ঘনত্ব কমে যাচ্ছে অনেক। এখন বিভিন্ন রাসায়নিক যুক্ত পণ্য, স্ট্রেটনিং, স্পা, রঙের প্রয়োগ ইত্যাদির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা পরক্ষে আপনার চুলের ক্ষতিই করছে। সাধারণত শ্যাম্পু করার সময় বা চুল ব্রাশ করার সময় বা চুলে তেল দেওয়ার সময় চুল পড়ে যেতে দেখি আমরা। এর কারণ অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয়ই হতে পারে। এবং সচেতন ভাবে চুলের কিছু যত্ন করলেই হতে পারে মুশকিল আসান।
১। চুলের গোড়া মজবুত ও সুস্থ রাখতে পুষ্টির বিশেষ প্রয়োজন। চুলের পুষ্টি জোগায় তেল। আগের প্রজন্মের মানুষজনও কিন্তু তেলের উপরেই ভরসা করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন আমাদের। সপ্তাহে অন্তত তিনবার চুলে তেল দিলে আপনার চুল মজবুত ও স্বাস্থ্যবান হবে।
যে কোনও ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যার মধ্যে কোনও রাসায়নিক নেই এবং যা চুলকে পুষ্টি দেয়
২। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং চুল ধোয়াও প্রয়োজন। যে কোনও ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যার মধ্যে কোনও রাসায়নিক নেই এবং যা চুলকে পুষ্টি দেয়। মনে রাখবেন শ্যাম্পু ঘন ঘন করলে চুলের কোনও উপকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং সপ্তাহে দুই থেকে তিন বারের বেশি শ্যাম্পু করলে চুল কমজোর হয়ে পড়তে পারে।
৩। চুল শুকিয়ে গেলে সিরাম লাগাতে হলে সেই সিরামের মধ্যের উপাদান ভাল করে দেখে কিনুন। সংবেদনশীল ত্বকে কোনও শক্তিশালী রাসায়নিকযুক্ত সিরাম পড়লে তা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। সিরাম কিন্তু পরিমিত পরিমাণেই ব্যবহার করা উচিত।
৪। বাজারে যা খুব চলছে তা ঝোঁকে পড়ে না কিনে এমন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং স্টাইলিং-এর পণ্য ব্যবহার করুন যা প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। চুল যা শক্তিশালী করবে।
৫। শ্যাম্পুর পর একটি গরম তোয়ালে বা শাওয়ার ক্যাপ মুড়িয়ে কন্ডিশনিং করতে পারেন ঘরোয়া ভাবেই। এটি চুলের ফলিকলের মধ্যে গভীর ভাবে প্রবেশ করে চুল সতেজ এবং উজ্জ্বল করে তুলবে।