ছবি: সংগৃহীত।
চুল পড়া বন্ধ করতে কত কী না করেছেন! তেল, শ্যাম্পু, সিরাম কিচ্ছু বাদ দেননি। তবু চুল পড়া রুখতে পারেননি। তার উপর খুশকি, বর্ষাকালে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের উপদ্রব তো আছেই। কেশসজ্জা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাথায় মাখতে হবে বিশেষ এক ধরনের তেল। সেই তেল তৈরি হবে তিন ধরনের বীজ দিয়ে। নিয়ম করে সেই তেল মাখলে চুল যেমন পুষ্টি পাবে, তেমনই চুলের হারানো জেল্লাও ফিরে আসবে। কুমড়ো, তিসি এবং কালোজিরে— মূলত এই তিনটি বীজ লাগবে। সঙ্গে পছন্দমতো তেল এবং সামান্য কয়েকটি উপকরণ রাখতে হবে।
চুলের জন্য এই তেল কেন উপকারী?
কুমড়োর বীজে রয়েছে জ়িঙ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব উপাদান চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। যা নতুন চুল গজানোর জন্য উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে।
তিসি আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মাথার ত্বকে প্রদাহজনিত সমস্যা দূরে রাখে।
চুলের জন্য কালোজিরের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ এই মশলা খুশকির সমস্যা নির্মূল করে।
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে রোজ়মেরি আর চুলের জেল্লা বজায় রাখে ভিটামিন ই অয়েল।
চুলের জন্য বিশেষ এই তেল তৈরি করবেন কী ভাবে?
উপকরণ:
২ টেবিল চামচ কুমড়ো বীজ
১ টেবিল চামচ তিসি
১ টেবিল চামচ কালোজিরে
একমুঠো শুকনো রোজ়মেরি
১ চা-চামচ ভিটামিন ই অয়েল
১ কাপ নারকেল তেল
পদ্ধতি:
প্রথমে কড়াইতে নারকেল তেল গরম করতে দিন। চাইলে অলিভ অয়েল বা কাঠাবাদামের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, তেল যেন ফুটতে শুরু না করে।
এ বার তেলের মধ্যে এক এক করে সব রকম বীজ দিতে শুরু করুন। ধীরে ধীরে তেলের রং বদলাতে শুরু করবে।
তেল ভাল মতো গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে দিতে হবে একমুঠো শুকনো রোজ়মেরি পাতা।
একেবারে শেষ পর্যায়ে ভিটামন ই অয়েল মিশিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
এই অবস্থায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রেখে দিতে পারলে ভাল হয়। তার পর কাচের বায়ুরোধী শিশিতে তেল ছেঁকে ঢেলে নিতে হবে। ব্যস, তা হলেই বীজের তেল তৈরি হয়ে যাবে।
কী ভাবে মাখবেন এই তেল?
স্নান করার আধ ঘণ্টা আগে মাথায় এই তেল মেখে রাখতে পারেন। তার পর সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু করে নিলেই হবে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ভয় নেই, তাঁরা সারা রাত তেল মেখে পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন এই তেল মাখতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। মাথার ত্বকও পুষ্টি পাবে।