ফেশিয়াল হোক বা মুখে মাখার ক্রিম— সবই ত্বকের ধরন বুঝে নির্ধারণ করতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।
সালোঁয় ফেশিয়াল করতে গেলে অনেক সময়ই মুখে ‘স্টিম’, মানে গরম জলের ভাপ দেওয়া হয়। তাতে সারা দিনের ক্লান্তি যেমন দূর হয়ে যায়, তেমনই ত্বক হয়ে ওঠে কাচের মতো স্বচ্ছ। ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা তেল, ধুলোময়লা, ব্ল্যাকহেড্স কিংবা হোয়াইটহেড্স পরিষ্কার করার পরিচিত, সহজ পদ্ধতি এটি।
তবে যাঁরা নিয়মিত সালোঁয় যেতে পারেন না, তাঁরা কিন্তু বাড়িতেই ‘ফেশিয়াল স্টিমার’-এর সাহায্যে মুখে গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, শুধু গরম জলের ভাপ নিলে কিন্তু খুব একটা লাভ হবে না। ফেশিয়াল হোক বা মুখে মাখার ক্রিম— সবই তো ত্বকের ধরন বুঝে নির্ধারণ করতে হয়। স্টিম নেওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু এই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। ত্বকের সমস্যা কিংবা ধরন বুঝে প্রাকৃতিক কয়েকটি উপাদান এবং এসেনশিয়াল অয়েল যদি মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে কয়েক দিনের মধ্যেই তফাত নজরে পড়বে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী স্টিম নেওয়ার জলে কী কী মেশানো যেতে পারে?
১) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য:
মুখে শুধু গরম জলের ভাপ দিলে সেবাম ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফুটন্ত জলে ১ টেবিল চামচ শুকনো রোজ়মেরি এবং কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সঠিক পদ্ধতি মেনে স্টিম নিতে পারলে ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা ধুলোময়লা সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেবাম ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) মুখে ব্রণ থাকলে:
তৈলাক্ত ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ব্রণের আধিক্য। মুখে স্টিম নিলে সেই সমস্যা বশে রাখা যায়। তবে শুধু গরম জলের ভাপে কাজ হবে না। ফুটন্ত জলে ১ টেবিল চামচ শুকনো ল্যাভেন্ডার ফুলের পাপড়ি এবং কয়েক ফোঁটা টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে, মিনিট ১ ভাপ নিলে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত কমবে। কয়েক সপ্তাহ নিয়ম করে এই পদ্ধতি মেনে চললে তফাত নজরে পড়বে।
৩) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে:
ত্বকের জেল্লা এবং তারুণ্য ধরে রাখতে ফুটন্ত জলে ১ টেবিল চামচ শুকনো ক্যামোমাইল ফুলের পাপড়ি এবং ফ্র্যানকিনসেন্স এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলতে এই পারে এই মিশ্রণ।