খুশকি দূর করার ক্ষমতা রয়েছে কর্পূরে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো-অর্চনায় হোক কিংবা জামাকাপড়ে সুগন্ধ আনতে— ঘরের নানা কাজে প্রায়শই আমরা কর্পূর ব্যবহার করি। অনেক সময়ে আবার বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হলেও কর্পূরের খোঁজ পড়ে। আবার খুশকি দূর করতেও অনেকে কর্পূর মাখেন। তবে কর্পূর মাখারও নিয়ম আছে। খুশকির ধরন বুঝে তা নির্ধারণ করতে হয়।
খুশকি তাড়াতে কী কী ভাবে কর্পূর ব্যবহার করা যায়?
১) কর্পূর, নারকেল তেল:
ছোট একটি পাত্রে প্রয়োজন মতো নারকেল তেল নিন। হালকা গরম করে তার মধ্যে এক চিমটে কর্পূরের গুঁড়ো দিন। ভাল করে মিশিয়ে ওই তেল মাথায় মেখে রাখুন। ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই টোটকায় খুশকির বাড়বাড়ন্ত অনেকটা কমবে।
২) কর্পূর, অলিভ অয়েল:
নারকেল তেল মাখতে না চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। একই ভাবে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে তার সঙ্গে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে নিন। মাথায় তা মেখে রেখে দিন কিছু ক্ষণ। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল পড়া এবং খুশকি— দুই-ই কমবে। মাথার শুষ্ক ত্বক কিংবা রুক্ষ চুলের জন্য এই টোটকা দারুণ কাজের।
৩) কর্পূর, ক্যাস্টর অয়েল:
খুশকিরও তো রকমফের আছে। অনেকেরই শীতের সময়ে মাথা থেকে খোসার মতো মৃত কোষ উঠতে শুরু করে। এই সমস্যা সমাধানে নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে কর্পূরের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল না মাখাই ভাল।